রাজশাহী থেকে বাস চলাচল বন্ধ হয়েছে গত ১৯ মার্চ থেকে। আর কাউকে ঢুকতে বা বেরোতে দেওয়া হচ্ছে না সোমবার সন্ধ্যা থেকে। বিভাগীয় সমন্বয় কমিটির সভায় এমন সিদ্ধান্ত হওয়ার পর কার্যত অন্য জেলাগুলো থেকে বিচ্ছিন্ন রাজশাহী।
রাজশাহীতে ঢোকার যতগুলো পথ আছে সবখানে বসানো হয়েছে পুলিশের চেকপোষ্ট। রাজশাহী মহানগর এলাকায় করোনাভাইরাসের চরম উদ্বেগজনক পরিস্থিতি উল্লেখ করে পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত সব বন্ধ রাখতে আদেশ জারি করেছে আরএমপি।
সোমবার বিকালে মহানগর পুলিশের পক্ষ থেকে নগরবাসীর জন্য নির্দেশনা ও নিষেধাজ্ঞা জারি করে। গণমাধ্যমে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মহানগর এলাকা করোনাভাইরাস এর বর্তমান চরম উদ্বেগজনক পরিস্থিতি। আরএমপি এলাকায় এ পরিস্থিতি মোকাবেলায় এবং সংক্রমণ ও বিস্তার রোধে রাজশাহী নগর পুলিশের কমিশনার রাজশাহী মহানগরবাসীকে তিন দফা নির্দেশনা মেনে চলার অনুরোধ করেন।
এগুলো হলো-প্রতিদিন সন্ধ্যা ছয়টার পর থেকে সকাল ছয়টা পর্যন্ত ওষুধের দোকান ব্যতীত সব ধরনের দোকান বন্ধ থাকবে। রাজশাহী মহানগরের বাহির থেকে কোন প্রকার যানবাহন বা ব্যক্তি জরুরি প্রয়োজন ছাড়া মহানগরে প্রবেশ করতে পারবেন না বা বাহির হতে পারবে না। মহানগরের কোন বাসিন্দা জরুরি প্রয়োজন ব্যতীত বাড়ির বাইরে বের হবেন না এবং অযথা কোন যানবাহন রাস্তায় চলাচল করা যাবে না।
এর আগে রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে সকাল ১১টা থেকে দেড়টা পর্যন্ত এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। বিভাগীয় কমিশনার হুমায়ুন কবির খন্দকারের সভাপতিত্বে করোনাভাইরাস পরিস্থিতি মোকাবেলা নিয়ে আলোচনার ৩ নম্বর বিষয়ে রাজশাহীজুড়ে লকডাউন করার সিদ্ধান্ত হয়। এরপর সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের জন্য নিদের্শনা দেওয়া হয় সংশ্লিষ্ট দফতরগুলোকে।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার