নেত্রকোনার দুর্গাপুরে পাহাড়ি ঢলে রাত থেকে সকাল পর্যন্ত বেড়ে গিয়েছিলো ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি নদী সোমেশ্বরীর পানি। সুপার সাইক্লোন আম্ফানের প্রভাবে গত দুই দিন ধরে মাঝারী থেকে ভারী বৃষ্টিপাত হয় সীমান্ত উপজেলা দুর্গাপুরে।
বৃহস্পতিবার ২১ মে রাত থেকেই অল্প অল্প করে বাড়তে শুরু করে নদীর পানি। শুক্রবার সকালের দিকে ফুলে-ফেঁপে ওঠে পুরো নদী। নদী থেকে বালু তোলার ড্রেজারের গর্তগুলোও উপচে বয়ে যাচ্ছে স্রোত। তবে শুক্রবার দুপুরের পর থেকে আবারো কমতে শুরু করে সোমেশ্বরীর পানি। এই নদীর বৈশিষ্ট্যই হচ্ছে দ্রুত পানি উপচে ফুলে উঠা আবার তা মুহূর্তেই সরে যাওয়া।
কিন্তু নদীতে এই অপরিকল্পিত ড্রেজারে বালু উত্তোলনের ফলে পানির ধারণ ক্ষমতা কমে গেছে একেবারে। যে কারণে বেশিক্ষণ লাগে না নদী ভরে যেতে। আবার পাহাড়ী নদী হওয়ায় ওজানে পানি নেমে যেতেও সময় লাগে না। সব মিলিয়ে সকালে দুর্গাপুর বন্যা হলে বিকালেই পানি থাকে না। যে কারেণ পাহাড়ি ঢল অব্যাহত থাকলে নদী উপচে উপজেলার সর্বত্র ডুবে যায় মুহূর্তেই।
পানি উন্নয়ন বোর্ড ময়মনসিংহের হাড্রোলজি বিভাগের অধীনে গেজ অফিস সূত্রে জানা যায়, বিজয়পুর পয়েন্টে বিপদসীমা ১৫ দশমিক ৮৭ সেন্টিমিটারের নীচ দিয়ে (সকালের খবর) পানি প্রবাহিত হয়।
এদিকে স্থানীয়রা জানায়, ভারতের তলদেশে এখনো আকাশ মেঘলা। ভারতের মেঘালয়ে বৃষ্টি আরো বৃদ্ধি পেলে পাহাড়ি ঢল আরো বড় রূপ নিতে পারে বলে মনে করছেন তারা।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফারজানা খানম জানান, আমরা সার্বক্ষণিক পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ রেখেছি। সকল ধরনের পরিস্থিতি মোকাবেলায় আমরা প্রস্তুত রয়েছি।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল