২৯ মে, ২০২০ ১৮:০৪

ঘর নেই খাবার নেই, সন্তানদের আড়ালে কাঁদেন শিখারানী

মোরেলগঞ্জ প্রতিনিধি:

ঘর নেই খাবার নেই, সন্তানদের আড়ালে কাঁদেন শিখারানী

বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে ঘূণিঝড়ে স্বপ্ন ভেঙেছে বিধবা শিখারানীর (৫২)। ঝড়ে ঘরের নিচে চাপা পড়ে তিনিসহ আহত হয়েছেন তার ছেলে বিশ্বজিত বিশ্বাস (২৩) ও নয়ন বিশ্বাস (১৫)। 

শিখা রানীর সম্পত্তি বলতে আছে ৬ শকত জমি। ওই জমিতেই ছিল মাথা গোজার ঠাঁই, টিন-কাঠের একখানা ঘর। বুধবার রাত ৯ টার দিকে ডুমুরিয়া গ্রামের এই শিখা রানীর ঘরটি তছনছ হয়ে যায় ঝড়ের তাণ্ডবে। আংশিক উড়ে বেধে যায় গাছের ডগায়। 

শিখা রানীর বড় ছেলে বিশ্বজিত খুলনা বিএল কলেজের ছাত্র। আর ছোট ছেলে নয়ন বিশ্বাস স্থানীয় হাজী রাজা উল্লাহ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৯ম শ্রেণির ছাত্র। ঘরে থাকা দু-চার দিনের চাল, দুই ভাইয়ের বইপত্র সবই মাটিতে মিশে গেছে ঝড়ে।  

শিখা রানী বলেন, ‘সন্তানদের ঠিক রাখতে আমি লুকিয়ে কাঁদি। ঘরে খাবার নেই। কোন আয় নেই। বড় ছেলে প্রাইভেট পড়াতো তাও বন্ধ। ছোট ছেলেকে মেয়ের বাড়ি পাঠিয়েছি। প্রতিবেশীরা আমাদেরকে ডেকে খাওয়ায়। রাস্তায় কাজ করে ও ছেলের প্রাইভেটের টাকা জমিয়ে ঘর তুলেছিলাম। ঝড়ে বিধ্বস্ত হয়ে সে ঘর এখন বোঁঝায় পরিণত হয়েছে’। 

হত দরিদ্র শিখা রানী স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের (আরএমপি) একজন সড়ক শ্রমিক। বড় ছেলেকে নিয়ে এখন তিনি আছেন প্রতিবেশী নগেন পাইক এর আশ্রয়ে। বড় ছেলে বিশ্বজিত বলেন, প্রাইভেট পড়িয়ে কিছু আয় হতো। করোনার কারণে এখন তাও বন্ধ। এলাকায় দিনমজুরী করারও কোন কাজ পাচ্ছি না। 

ঝড়ে বিধ্বস্ত হতদরিদ্র এ পরিবারটি সম্পর্কে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. কামরুজ্জামান বলেন, শিখা রানীর দুর্দশার কথা কেউ জানায়নি। এখন জানলাম। দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

বিডি প্রতিদিন/হিমেল

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর