৩ জুন, ২০২০ ২০:৩৫
দিনাজপুরে মতবিনিময় সভায়

হাবিপ্রবিসহ আরও করোনা পরীক্ষা কেন্দ্র স্থাপনের দাবি

দিনাজপুর প্রতিনিধি

হাবিপ্রবিসহ আরও করোনা পরীক্ষা কেন্দ্র স্থাপনের দাবি

হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (হাবিপ্রবি) করোনা পরীক্ষাকেন্দ্র স্থাপনসহ দিনাজপুর, পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও ও নীলফামারীসহ ৪ জেলার প্রয়োজনে বিভিন্নস্থানে আরও পরীক্ষা কেন্দ্র স্থাপনের দাবি জানিয়েছে “করোনা দুর্যোগকালিন স্বেচ্ছাসেবী টিম দিনাজপুর'। 

করোনাভাইরাস মহামারীর সংক্রমণ প্রতিরোধে সামাজিক সচেতনতার বিকল্প নেই উল্লেখ করে মত বিনিময় সভায় বুধবার সকাল সাড়ে ১১টায় দিনাজপুর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে করোনা দুর্যোগকালিন স্বেচ্ছাসেবী টিম দিনাজপুরের সাথে সাংবাদিকদের মত বিনিময়কালে এ দাবি জানান তারা।

মতবিনিময় সভায় করোনা মহামারী প্রতিরোধে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার শ্লোগান ধরে বেশী বেশী নমুনা পরীক্ষা করার উপর গুরুত্বারোপ করে বক্তারা বলেন, যত বেশী নমুনা পরিক্ষা, সংক্রমন রোধে তত কার্যকর পদক্ষেপ। এজন্যে হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়সহ প্রয়োজনে বিভিন্ন স্থানে আরও করোনা পরীক্ষা কেন্দ্র স্থাপনের দাবি করেন বক্তারা। 

বক্তারা বলেন, করোনা প্রতিরোধে সামাজিক দূরত্ব তৈরি এবং মাস্ক ও স্যানিটাইজারের ব্যবহার বৃদ্ধির জন্যে এলাকাভিত্তিক মসজিদ, মন্দির, হাট-বাজার, ফেরিঘাট-স্টেশন ও বাসস্ট্যান্ডে মানুষের সচেতনতা বৃদ্ধিতে সবাইকে এক সাথে কাজ করতে হবে। প্রয়োজনে পাড়া-মহল্লাসহ বিভিন্ন স্থানে প্রয়োজনভিত্তিক বয়স্ক এবং যুবকদের সমন্বয়ে করোনা দুর্যোগকালিন স্বেচ্ছাসেবী টিমের কমিটি গঠন করার মাধ্যমে মানুষের জীবন বাঁচাতে কাজ করতে হবে। 

সংগঠনের যুগ্ম আহ্বায়ক মাহমুদুল হাসান মানিকের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন, করোনা দুর্যোগকালিন টিম সেচ্ছাসেবী সংগঠনের যুগ্ম আহবায়ক অ্যাড. মেহেরুল ইসলাম, সদস্য সচিব রেজাউর রহমান রেজু, সদস্য শহিদুল্লাহ্ শহিদুল, বদিউজ্জামান বাদল ও হবিবর রহমান, প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক গোলাম নবী দুলাল, সাংবাদিক আবু বক্কর সিদ্দিক, ইদ্রীস আলী, সালাহ উদ্দীন আহম্মেদ, কংকন কর্মকার, একরাম হোসেন তালুকদার, রফিকুল ইসলাম ফুলাল প্রমুখ। 

উল্লেখ্য, করোনা দুর্যোগকালিন স্বেচ্ছাসেবী টিম দিনাজপুর জেলার বিভিন্ন করোনা রোগীর মনোবল চাঙ্গা রাখতে ও প্রতিরোধে পুষ্টিকর ফলমুলসহ বিভিন্ন সহযোগিতা করতে যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছেন তারা। এর পাশাপাশি প্রতিরোধে বিভিন্ন সচেতনতামূলক কার্যক্রম চালাচ্ছেন তারা। সরকারি সুবিধা না পেলেও তারা নিজ উদ্যোগেই করোনা রোগীর সাথে যোগাযোগসহ বিভিন্ন কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। 

বিডি প্রতিদিন/এনায়েত করিম

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর