করোনা প্রার্দুভাবের মাঝে এবার ডেঙ্গু প্রতিরোধে মাঠে নেমেছে নীলফামারী পৌরসভা। ইতোমধ্যে বাড়ি বাড়ি গিয়ে এডিস মশার উৎপত্তি স্থলগুলো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ শুরু করেছে প্রতিষ্ঠানটির কর্মীরা।
পাশাপাশি চলমান সড়ক জীবাণুনাশক করণ, বাড়ি বাড়ি গিয়ে জীবাণুনাশক স্প্রে, ড্রেন পরিষ্কার, মশকনিধন, ডাষ্টবিন থেকে আবর্জনা অপসারণের কাজেও গতি বেড়েছে। তবে শুধু পৌরসভার উপর ভর করে নাগরিকদের সচেতন হওয়ার আহবান জানিয়েছেন সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা।
শহরের প্রগতি পাড়া, কবরস্থান মোড়, কলেজ পাড়া, কুমড়া খাওয়ার মোড় ও হঠাৎ পাড়া ঘুরে দেখা গেছে বাড়ি বাড়ি গিয়ে লিফলেট বিতরণ জীবানু নাশক স্প্রে করণের চিত্র।
কুমড়া খাওয়ার মোড় এলাকার লুৎফর রহমান জানান, আমাদের এলাকার ড্রেনগুলো নিয়মিত পরিষ্কার করা হয় কিন্তু স্থানীয় মানুষরা এটির সঠিক ব্যবহার করছেন না।
ড্রেনের মধ্যেও ময়লা আবর্জনা ফেলে ড্রেন বন্ধ করে রাখেন। করোনা কাল থেকে বাড়িতে এসে পৌরসভার কর্মীরা জীবানু নাশক স্প্রে ছিটিয়ে গেছে এবার ডেঙ্গু থেকে সচেতনতার জন্য দিয়ে যাচ্ছে সচেতনতা মুলক লিফলেট।
পৌরসভার কনজারভেন্সি বিভাগের পরিদর্শক আব্বাস আলী বলেন, আমরা করোনা বা ডেঙ্গুর জন্য নিয়মিত ভাবে ড্রেনগুলো পরিষ্কার রাখি। এক্ষেত্রে প্রয়োজন অনুসারেও পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার কাজ করা হয়। করোনা শুরুর আগে থেকে এবং ডেঙ্গুর মৌসুম আসার প্রাক্কালে বিশেষ নজর দিয়েছি ড্রেন এবং ডাষ্টবিন থেকে আবর্জনা অপসারণের বিষয়ে।
পৌরসভার প্রকৌশল বিভাগ সূত্র জানায়, পৌর এলাকায় ছোট বড় মিলে প্রায় ৩০কিলোমিটার ড্রেন এবং প্রায় ৫’শ ডাষ্টবিন রয়েছে। পর্যায় ক্রমে এসব ড্রেন ও ডাষ্টবিন পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা করা হয়।
নীলফামারী চেম্বার অব কমার্স এ্যান্ড ইন্ডাষ্ট্রির সাবেক সভাপতি প্রকৌশলী সফিকুল আলম ডাবলু বলেন, পৌরসভা তো কাজ করেই চলেছে। ড্রেন, রাস্তা ঘাট ডাষ্টবিন থেকে ময়লা আবর্জনা পরিষ্কার করছে। বাসা বাড়িতে গিয়ে সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করছে। শুধু পৌরসভার উপর ভর করেতো থাকলে হবে না নাগরিক হিসেবে আমাদেরও সচেতন হতে হবে। করোনা কালের মধ্যে ডেঙ্গুর মৌসুম আসছে এক্ষেত্রে বাসা বাড়ি আমরা পরিষ্কার রাখি বিশেষ করে ফুলের টব, টায়ার, ফ্রিজ, কোন পরিত্যক্ত পাত্রে যেন পানি জমা না থাকে এদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
নীলফামারী পৌরসভার মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি দেওয়ান কামাল আহমেদ বলেন, ড্রেনে কিন্তু এডিস মশার উৎপত্তি হয় না। পরিষ্কার পানিতে এডিস মশা জন্মায়। এজন্য নিজ নিজ বাড়িতে যেসব স্থানে পানি জমা হয়ে থাকে এসব স্থান পরিষ্কার রাখতে হবে আমাদের। এজন্য কিন্তু সচেতনতা মুলক কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। তিনি বলেন, বিরামহীন সেবা দিয়ে যাচ্ছে পৌরসভার কর্মীরা। করোনা ক্রান্তিকালেও ক্লান্তিহীন সেবা দিয়েছে আমাদের সব পর্যায়ের কর্মকর্তা কর্মচারীরা।
পৌরবাসীর সহযোগীতা চেয়ে তিনি বলেন, সুস্থ থাকতে হলে এখনই পদক্ষেপ নিতে সবাইকে। যাতে আমরা সবাই ভালো থাকি।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার