রাজবাড়ী সদর উপজেলার মিজানপুর ইউনিয়নের পুকুর ইজারা দেওয়াকে কেন্দ্র করে স্থানীয় হেলাল হোসেন এবং বশির গ্রুপের মধ্যে পক্ষের সংঘর্ষে হেলাল গ্রুপের ফরহাদ হোসেন (২৫) এবং মধু সরদার (৪২) নামে দুই ব্যক্তি গুলিবিদ্ধ হয়েছে। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের আরও তিন ব্যক্তি গুরুতর আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে পলাশকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকায় প্রেরণ করা হয়েছে। বুধবার রাত ১০টার দিকে মিজানপুর ইউনিয়নের গঙ্গাপ্রসাদপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় আহতরা হলেন, মিজানপুর ইউনিয়নের গঙ্গাপ্রসাদপুর গ্রামের মো. আফসার মোল্লার ছেলে মো. সরিত মোল্লা ও সামাদ মিয়ার ছেলে সবুজ।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গঙ্গাপ্রসাদপুর গ্রামে একটি পুকুর ইজারা দেওয়াকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটে। মালিকবিহীন একটি পুকুর এক বছর পরপর ইজারা দেওয়া হয়। পুকুরের ইজারার টাকা গঙ্গাপ্রসাদপুর মসজিদ, কবরস্থান এবং মন্দিরের উন্নয়নের জন্য ব্যয় করা হয়। পুকুরটির একক মালিকানা না থাকার কারণে গঙ্গাপ্রসাদপুর কবরস্থান কমিটি পুকুরটি দেখভাল করেন। কবরস্থানের কমিটির সভাপতি সহ গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিরা মারা গেলে কবরস্থান ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. রবিউল ইসলাম পান্নুসহ অনান্যরা বশিরকে লিজ দিলে এ ঘটনা নিয়ে ঈদের পূর্ব থেকে উত্তেজনা বিরাজ করে আসছিল। গতকাল রাতে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।
দুই পক্ষের গোলাগুলিতে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্রের ব্যবহার হলেও সেগুলো কেন উদ্ধার হয়না এমন প্রশ্নের জবাবে বৃহস্পতিবার সকালে রাজবাড়ী পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান মুঠোফোনে বলেন, বাস্তবে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এবং উপ-পরিদর্শকরা মাঠ পর্যায়ে কাজ করেন। দুই পক্ষের সংঘর্ষে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করতে না পারা তাদের ব্যর্থতা। মিজানপুরের ঘটনায় অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারে পুলিশ কাজ করবে।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার