কুড়িগ্রামে এখনও ব্রহ্মপুত্র ও ধরলা নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। গত দুইদিন যাবত নদনদীর পানি অনেক হ্রাস পেলেও শুক্রবার আবার নতুন করে ধরলা নদীর পানি ২৫ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ার আশংকা করা হচ্ছে।
তবে পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, দুই একদিন পানি বাড়বে আবার কমতে থাকবে। সে কারণে বন্যা পরিস্থিতি অবনতি ঘটতে পারে। নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফুল ইসলাম জানান, গত ২৪ ঘন্টায় ধরলা নদীর পানি বেড়ে বিপদসীমার ৫৩ সেন্টিমিটার ও ব্রহ্মপুত্রের পানি চিলমারী পয়েন্টে বিপদসীমার ৪২ সেন্টিমিটার এবং দুধকুমর নদীর পানি নুনখাওয়া পয়েন্টে বিপদসীমার ৩৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। আগামী ৮ জুলাই থেকে পানি অস্বাভাবিক বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান তিনি।
সূত্র জানায়, জেলার ৭৩টি ইউনিয়নের মধ্যে ৫৬টি ইউনিয়নের ৫৭৯টি গ্রাম বন্যার পানিতে নিমজ্জিত রয়েছে। প্রায় ১৭ হাজার পরিবারের ঘরবাড়ি বন্যার পানিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। নদী ভাঙনের শিকার হয়েছে ৫ শতাধিক পরিবার। আর বেসরকারি হিসাবে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সংখ্যা এক লাখ ৮০ হাজারের ওপর।জেলা প্রশাসক রেজাউল করিম জানান, বন্যার্তদের জন্য ৩০২ মেট্র্রিক টন চাল ও শুকনো খাবার বিতরণের জন্য ৩৬ লাখ ৬৮ হাজার টাকা ইতিমধ্যেই দেয়া হয়েছে। নতুন করে আরো ২ হাজার মেট্রিক টন চাল ও শুকনো খাবারের জন্য ২ কেটি টাকা বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে।
এছাড়া গত বৃহস্পতিবার রাতভর ও শুক্রবার দিনভর অবিরাম বৃষ্টি ও উজানের ঢলে সবগুলো নদনদীর পানি অনেক বেড়েছে। অবিরাম বর্ষণের কারণে সড়ক ও বাঁধের উপর আশ্রিত মানুষের দুর্ভোগ বৃদ্ধি পেয়েছে। শুকনো খাবার, বিশুদ্ধ পানি ও গো-খাদ্যের সংকট আরো প্রকট হয়েছে। দেখা দিয়েছে চিকিৎসা সংকট। বেড়েছে স্বাস্থ্য ঝুঁকি।
বিডি প্রতিদিন/আল আমীন