৬ আগস্ট, ২০২০ ০৩:৪৭

চাঁদপুরে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত, মেঘনায় পানি বৃদ্ধি

চাঁদপুর প্রতিনিধি

চাঁদপুরে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত, মেঘনায় পানি বৃদ্ধি

চাঁদপুরের মেঘনার পানি বিপৎসীমার ৭৯ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় শহরের বিভিন্ন অঞ্চল, সদর উপজেলার চরাঞ্চল ও হাইমচর উপজেলায় সেচ প্রকল্পের বাহিরের এলাকাগুলো জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়েছে। এসব এলাকার অধিকাংশ বাড়ি ঘরে পানি প্রবেশ করেছে। রাস্তাগুলো পানিতে তলিয়ে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। এতে করে চরাঞ্চলের লোকজন মাচা বেঁধে অবস্থান করছে।

বুধবার বিকাল থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় লঞ্চঘাট, হরিণা ফেরিঘাট, শহরের বঙ্গবন্ধু সড়ক, নিউ ট্রাক রোড, কোড়ালিয়া রোড, যুমনা রোড, মাদ্রাসা রোড, পুরান বাজার ডিগ্রি কলেজ সড়ক, হাফেজিয়া মাদ্রাসা সড়ক, রয়েজ রোড, নিতাইগঞ্জ, মধ্য শ্রীরামদী, পশ্চিম শ্রীরামদী, লক্ষীপুর মডেল ইউনিয়ন, ইব্রাহীমপুর ইউনিয়ন, হানারচর ইউনিয়ন, চান্দ্রা ইউনিয়ন প্লাবিত হয়েছে।

চাঁদপুর সদর উপজেলার রাজরাজেশ্বর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হযরত আলী জানান, পুরো ইউনিয়নটি মেঘনা নদীর পশ্চিম পাড়ে অবস্থিত। সেখানে ৯টি ওয়ার্ডের মধ্যে চিরারচর, রায়েরচর, গোয়ালনগর, মুগাদি, বাঁশগাড়ি, চরসুরেশ এলাকায় রাস্তাঘাট ও বাড়িতে পানি প্রবেশ করে প্লাবিত হয়েছে। লোকজন এখন মাচা বেঁধে অবস্থান করছে। ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়টি পানিতে তলিয়ে গেছে।

চান্দ্রা ইউনিয়নের বাসিন্দা মাইনুল ইসলাম বলেন, তাদের বাড়ি ঘর পানির নিচে। সড়কগুলো পানিতে তলিয়ে গেছে। ঘরের মধ্যে থাকাটাও অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশেষ করে গবাদি পশুগুলো নিয়ে বিপাকে পড়েছে মানুষ। পুকুর ও মৎস্য খামারগুলো তলিয়ে গেছে। 

হাইমচর উপজেলার মহজমপুরের ফারুক গাজী, দুলাল মিয়া জানান, বিকেল থেকে প্রচণ্ড গতিতে পানি বাড়ি ঘরে প্রবেশ করেছে। ঘরের মধ্যে এখন পানিবন্দি। গবাদি পশু ও হাঁস মুরগি পানির মধ্যে রয়েছে।

হাইমচর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নুর হোসেন পাটওয়ারী জানান, উপজেলার ঢেলের বাজার থেকে শুরু করে চরভৈরবী সড়কের মহজমপুর ও পুরাতন হাইমচর সড়কের দু’টি ব্রিজের নীচ দিয়ে পানি প্রবেশ করে লোকালয়ে প্রবেশ করেছে। এতে করে মহজমপুর, চরকৃষ্ণপুর, নয়ানী, লামচরী, দক্ষিণ চরভৈরবী, নতুন বাজারসহ আশপাশের এলাকার বাড়িঘরে জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়েছে। রাস্তার উপরে দিয়ে পানি গড়িয়ে পড়ছে। কয়েকটি স্থানে বিদ্যুতের খুটি উপড়ে পড়েছে। 

চাঁদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী বাবুল আক্তার জানান, গত কয়েকদিন মেঘনা নদীর পানি বিপৎসীমার ৫০ থেকে ৭০ সেন্টিমিটার উপরে প্রবাহিত হয়েছে। তা আজ বেড়ে ৭৯ সেন্টিমিটার। যার কারণে বিকাল থেকে জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় চাঁদপুর শহর ও হাইমচর উপজেলায় বেশ কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। হাইমচর উপজেলার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের মহজমপুর ও পুরাতন হাইমচরের দু’টি ব্রিজের নীচ দিয়ে ভেঙে পানি লোকালয়ে প্রবেশ করেছে। যার কারণে সেচ প্রকল্প এখন হুমকির মুখে। আমরা ভাঙন এলাকা নিয়ন্ত্রণ করার জন্য চেষ্টা অব্যাহত রেখেছি।


বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর