প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রীসভা কমিটিসহ সংশ্লিষ্ট সকল কর্তৃপক্ষ অনুমোদন দিয়েছে দুই বছর আগে। তারপরও কৃষি মন্ত্রণালয় গেজেট প্রকাশ করছে না। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এজন্য কয়েক দফা তাগিদ দিয়েছে।
কিন্তু কৃষি মন্ত্রণালয় এক অজানা কারণে গেজেট প্রকাশে গড়িমসি করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এতে প্রায় ২০ হাজার উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা দুর্ভোগে রয়েছেন।
সূত্রমতে, প্রধানমন্ত্রী ২০১৩ সালের ২৩ অক্টোবর কৃষিবিদদের এক সম্মেলনে ডিপ্লোমা কৃষিবিদ উপ-সহকারী কৃষি অফিসারদের ১০ম গ্রেডের বেতন স্কেলসহ ২য় শ্রেণির পদমর্যাদা ঘোষণা করেন। এর আগে কৃষি মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাব অনুযায়ী জনপ্রশাসন ও অর্থ মন্ত্রণালয় বিষয়টিতে অনাপত্তি জ্ঞাপন করেন।
২০১৮ সালের ২২ জুলাই উপ-সহকারী কৃষি অফিসারদের বেতন স্কেল ১১তম গ্রেড থেকে ১০ম গ্রেডে উন্নীতকরণসহ ২য় শ্রেণির পদমর্যাদার নীতিগত অনুমোদন প্রদান করেন প্রধানমন্ত্রী। এর আগে বেতন বৈষম্য দূরীকরণ সংক্রান্ত মন্ত্রীসভা কমিটি বিষয়টির অনুমোদন প্রদান করেন একই বছরের ১৯ জুন।
ডিপ্লোমা কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন কুমিল্লা জেলা শাখার অর্থ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ বলেন, ডিপ্লোমা কৃষিবিদগণ দীর্ঘ ৪৫ বছর যাবত পদমর্যাদা ও বেতন বৈষম্যের শিকার হয়ে আসছিলেন। প্রধানমন্ত্রী এবং মন্ত্রীসভা কমিটির অনুমোদনের মধ্য দিয়ে তাদের দীর্ঘকালের ন্যায়সঙ্গত দাবি ও বৈষম্যের অবসান হয়। তবে গেজেট না হওয়ায় তা বাস্তবায়ন হচ্ছে না।
ডিপ্লোমা কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনের সভাপতি এটিএম আবুল কাশেম বলেন, প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রীসভা কমিটিসহ সংশ্লিষ্ট সকল কর্তৃপক্ষ অনুমোদন দিয়েছে দুই বছর আগে। কিন্তু কৃষি মন্ত্রণালয় এক অজানা কারণে গেজেট প্রকাশে গড়িমসি করছে। এতে ২০ হাজার উপ-সহকারী কৃষি অফিসার বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন। এবিষয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
বিডি প্রতিদিন/ আবু জাফর