শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোতাহারুল ইসলাম লিটনের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনার পর পরই একজনকে আটক করেছে পুলিশ।
আটক ব্যক্তির নাম মঞ্জু (৩২)। তিনি পৌর শহরের পূর্ব চককাউরিয়া এলাকার গুচ্ছু মিয়ার ছেলে এবং একজন হোটেল শ্রমিক।
শনিবার সন্ধ্যার পর উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয় সংলগ্ন শ্রীবরদী-বকশিগঞ্জ সড়কে সেতুর ওপর এ ঘটনা ঘটে। এতে গুরুতর আহত মোতাহারুল ইসলাম লিটনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, লিটনের মাথায় অন্তত ১০টি সেলাই লেগেছে।
জানা যায়, শ্রীবরদী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোতাহারুল ইসলাম লিটন পৌর শহরের তাতিহাটি এলাকার বাসা থেকে দলীয় কার্যালয়ে মোটরসাইকেলযোগে যাচ্ছিলেন। আসার পথে কার্যালয় সংলগ্ন সেতুর ওপর এলে হোটেল শ্রমিক মঞ্জু পেছন থেকে রড দিয়ে অতর্কিতভাবে মাথায় আঘাত করে।
এতে লিটনের মাথায় গুরুতর জখম হয়। পরে আশপাশের লোকজন আহত অবস্থায় লিটনকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। এ ঘটনার পরই অভিযান চালিয়ে হামলাকারী মঞ্জুকে আটক করে পুলিশ।
জানা গেছে, ওই শ্রমিক দীর্ঘদিন লিটনের বাড়িতে ও আওয়ামী লীগ অফিসে কাজ করতেন। দুই বছর আগে আওয়ামী লীগ নেতার কাজ ছেড়ে দিয়ে হোটেল শ্রমিকের কাজ নেয় মঞ্জু। তখন থেকেই লিটন ও মঞ্জুর সম্পর্ক কিছুটা খারাপ হয় বলে জানা গেছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট তারিকুল ইসলাম ভাসানি বলেন, আমরা এ ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাই।
জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিল্লাল হোসেন জানান, ঠিক কী কারণে এমন হামলা হয়েছে, তা বের করতে পুলিশ চেষ্টা করছে। অভিযুক্ত মঞ্জুকে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করবে।
বিডি প্রতিদিন/এমআই