পানি সম্পদ উপ-মন্ত্রী এনামুল হক শামীম বলেছেন, চাঁদপুর এবং শরীয়তপুর নদী ভাঙন এলাকার মধ্যে অনেক ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা। ইতোমধ্যে বাংলাদেশের সকল ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলো চিহ্নিত করেছি। সবগুলোতেই স্থায়ী প্রকল্প প্রণয়ন করা হয়েছে। ৪শ’ ২০ কোটি টাকার প্রকল্প আমরা প্রণয়ন করেছি। পাঁচ দশ বছরের জন্যে প্রকল্প করতে চাই না। অন্তত ৫০ বছরের জন্যে টেকসই প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে চাই।
তিনি আজ সকাল ১১টায় চাঁদপুর শহর রক্ষা বাঁধের হরিসভা এলাকা পরিদর্শন করতে এসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী আরো বলেন, আমাদের অর্থনৈতিক সক্ষমতা বেড়েছে। বাংলাদেশের প্রায় ১৬ হাজার ৭শ কিলোমিটার বাঁধ রয়েছে। তার মধ্যে ৫ হাজার ৭শ ৫৭ কিলোমিটার উপকূলীয় অঞ্চলের বাঁধ। আড়াই হাজার কিলোমিটার সাধারণ বাঁধ। সারাদেশে ডেল্টা প্লান বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। আমরা আশা করি এই ৪শ’ ২০ কোটি টাকার প্রকল্পের আওতায় চাঁদপুর শহর সংরক্ষণ প্রকল্প পুননির্মাণ আগামী বর্ষার আগেই সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে কাজ শুরু করবো।
এনামুল হক শামীম আরো বলেন, আমরা মেঘনা টানেল করতে চাই। এ সরকারের শেষ দিকে হলেও টানেল অথবা সেতুর ভিত্তি প্রস্তর উদ্বোধন করতে চাই। সবকিছু বাস্তবতার আলোকে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। কোন পয়েন্টে টানেল বা সেতু হবে তা টেকনিক্যাল কমিটি নির্ধারণ করবে। আমরা চাঁদপুর এবং শরীয়তপুরকে শুধু গাড়ি নয় রেল সংযোগও স্থাপন করবো।
পরে তিনি শরীয়তপুর নরসিংহপুর ফেরী ঘাটে উপস্থিত হয়ে শরীয়তপুর-চাঁদপুর ফেরিঘাট এলাকার সংযোগ সড়ক পরিদর্শন করেন।
এসময় চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক মোঃ মাজেদুর রহমান খান, পুলিশ সুপার মোঃ মাহাবুবুর রহমান, পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান প্রকৌশলী মোঃ জহির উদ্দিন আহমেদ, তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী সফিকুল ইসলাম, নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন হাওলাদার, সহকারি প্রকৌশলী ওয়াহিদুজ্জামান, উপ-সহকারি প্রকৌশলী আশ্রাফুজ্জামানসহ স্থানীয় কর্মকর্তা ও আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন