৪ মার্চ, ২০২১ ১৭:১৩

নদীর মাঝে নিঃসঙ্গ দাঁড়িয়ে সংযোগবিহীন সেতু

দিনাজপুর প্রতিনিধি

নদীর মাঝে নিঃসঙ্গ দাঁড়িয়ে সংযোগবিহীন সেতু

নদীর মাঝে নিঃসঙ্গ দাঁড়িয়ে আছে সেতু। নির্মাণের পর আজও কেউ এই সেতুর উপর দিয়ে চলাচল করতে পারেননি। অযোগ্য-অব্যবহৃত এই সেতু। মানুষের দুর্দশা লাঘবে বেলান নদীর উপর তৈরি করা হয় সেতুটি। কিন্তু নির্মাণের প্রায় ৬ বছর পার হলেও কোনো সংযোগ সড়ক নির্মাণ না হওয়ায় আজও ওই সেতু ব্যবহার করতে পারেনি সাধারণ মানুষ।

দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার গোয়ালডিহি ইউনিয়ন পরিষদের পশ্চিমে গোয়ালডিহি গ্রামের বালাবাড়ির ডাঙ্গায় বেলান নদীর উপর এই সেতুটি। এদিকে, বেলান নদীতে বর্ষায় পানি ভরাট থাকলেও শুকনা মৌসুমে পানি থাকে না, তাই ধানসহ বিভিন্ন ফসলের চাষ হয়।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের নিষ্ক্রিয় ভূমিকার কারণেই আজও সড়কটিতে মাটি ভরাট করা হচ্ছে না। প্রায় ২ থেকে আড়াই কিলোমিটার পথ ঘুরে এলাকার মানুষ বিকল্প পথে চলাচল করে। ফলে যাতায়াতে চরম দুর্ভোগে এলাকার মানুষ।

জানা যায়, এলজিএসপি-২ এর আওতায় ২০১৩-১৪ এবং ২০১৪-১৫ অর্থ বছরে প্রায় ৭ লাখ টাকা ব্যয়ে সেতুটি নির্মাণ করে। জনস্বার্থে নির্মাণ করা হলেও সংযোগ সড়ক না থাকায় এবং মাটি ভরাট না করায় অব্যবহৃতই পড়ে আছে সেতুটি। দীর্ঘদিনের সাধারণ মানুষের হাঁটাপথের উপর ব্যবহার অনুপযোগী সেতুটি নির্মিত হওয়ায় এলাকাবাসী হারিয়ে ফেলেছেন তাদের চলাচলের পূর্বের পথটিও।

এ সেতুর পশ্চিম দিকে আধা কিলোমিটার দূরে এক সময় একটি বাঁশের সাঁকো ছিল। সাঁকোর ওপর দিয়েই এলাকার মানুষ চলাচল করতো। সাঁকোটি গত বন্যায় ভেঙে যাওয়ায় আর তৈরি করা হয়নি। একপর্যায়ে বেলান নদীর উপর নির্মাণ করা হয় সেতুটি।

পশ্চিম হাসিমপুর গ্রামের মো. ফজর আলী (৪২) বলেন, সেতুটির সংযোগ সড়কে মাটি ভরাট না করায় এ পথে চলাচল করতে পারছি না। তারা প্রায় ২ থেকে আড়াই কিলোমিটার পথ ঘুরে প্রয়োজনীয় কাজে নানান দিকে চলাচল করেন। এলাকার শত শত মানুষকে বিকল্প পথে চলাচল করতে হচ্ছে। এখানে সড়কটি তৈরি করে মাটি ভরাট করা হলে মানুষের কষ্ট লাঘব হবে।

উত্তমপাড়া গ্রামের দ্বিজেন্দ্র নাথ রায় ও (৪০) পশ্চিম হাসিমপুর গ্রামের মিন্টু ইসলাম (২৪) বলেন, আমরা নদীর ওপারে কৃষি জমির আবাদি ফসল অনেক কষ্ট করে নিয়ে আসি। সেতু হলেও সড়ক না থাকায় আমাদের কোনো কাজে আসে না। সরকার যদি সেতুটির দুই পাশে সংযোগ রাস্তা করে দেয় তবে আমাদের অনেক উপকার হতো। 

এ ব্যাপারে খানসামা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. আহমেদ মাহবুব-উল-আলম জানান, স্থানীয়ভাবে যদি এটা করা সম্ভব হয়, তবে শিগগিরই এটার সংযোগ সড়ক করে সেতু ব্যবহার উপযোগী করে দেব। আর এটা সম্ভব না হলে এর সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের পর যেভাবে করা সম্ভব তার পদক্ষেপ দ্রুত নেওয়া হবে।

বিডি প্রতিদিন/এমআই

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর