বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার
শিরোনাম
- তারেক রহমানের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বুড়িচংয়ে দোয়া মাহফিল
- ধর্মের দোহাই দিয়ে টিকেট বিক্রি করে কাজ হবে না: তানিয়া রব
- জবিতেও ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ থাকবে রবিবার
- সোনারগাঁয়ে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী মান্নানের সম্প্রীতি সমাবেশ
- ভূমিকম্প: ঢাবিতে রবিবারের ক্লাস-পরীক্ষা স্থগিত
- নোয়াখালীতে প্রয়াত ১০৯ বিএনপি নেতাকর্মীর পরিবারকে ক্রেস্ট ও সংবর্ধনা
- তারেক রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশ বিনির্মাণে ধানের শীষের বিকল্প নেই: দুলু
- ভূমিকম্পে নিহত শিশুর শেষ বিদায়ে পাশে থাকতে পারেননি বাবা-মা
- বিএনপি ক্ষমতায় থাকলে নারীরা সুরক্ষিত থাকে: শামা ওবায়েদ
- নরসিংদীর মাধবদী কীভাবে শক্তিশালী ভূমিকম্পের কেন্দ্রে পরিণত হলো?
- 'তারেক রহমান প্রধানমন্ত্রী হলে প্রতিটি পরিবারের হাতে ফ্যামিলি কার্ড দেওয়া হবে'
- মুস্তাফিজকে আবারও দলে নিলো ক্যাপিটালস
- বাগেরহাটে কবি হিমেল বরকতের পঞ্চম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত
- ঢাকায় ভূমিকম্পে নিহত বগুড়ার রাফিউলের দাফন সম্পন্ন
- ‘নির্বাচনকে নানাভাবে বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা চলছে’
- বিমান বাহিনীর খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের উত্তরাধিকারীদের সংবর্ধনা
- বিক্রি হয়ে গেল দ্য টেলিগ্রাফ
- নারায়ণগঞ্জে বিএনপি প্রার্থীর উদ্যোগে ফ্রি মেডিক্যাল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত
- মিরসরাইয়ে বিজিবির অভিযানে ভারতীয় ৩১ গরু আটক
- শততম টেস্টে মুশফিকের বিরল রেকর্ড
চিটা ধরেছে কৃষকের স্বপ্নের ধানে
নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী:
অনলাইন ভার্সন
অতিরিক্ত গরমে তীব্র তাপদাহে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে যাচ্ছে ধানগাছ। রাজশাহীতে চলমান তাবদাহে হিটশকে পুড়ে গেছে ২৮ হেক্টর জমির ১৬৮ মেট্রিক টন ধান। ধানের শীষ নষ্ট হয়ে চিটায় পরিণত হয়েছে মাঠের পর মাঠের ফসল। কষ্টার্জিত সোনার ফসল হারিয়ে তাই এখন ক্ষতিগ্রস্ত ও দিশেহারা কৃষক। রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর বলছে, দিনদিন বাড়ছে হিটশকে ক্ষতিগ্রস্ত জমির পরিমাণ।
গত ৪ এপ্রিল রাতের কালবৈশাখীর পর বয়ে যাওয়া ঝড়ো গরম বাতাসে কৃষকদের ক্ষেতের ধানের এই ক্ষতি হয়। ধানের এমন ক্ষতিতে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন ক্ষতিগ্রস্ত চাষিরা। দূর থেকে ক্ষেতের ধানগাছগুলোকে স্বাভাবিক মনে হলেও ছড়ায় থাকা ধানগুলো চিটা ধরে গেছে। আবার বাতাসের তোড়ে কিছু ক্ষেতের ধান মাটির সঙ্গে মিশে গেছে। ফলে মহাজনের কাছ থেকে ঋণ নিয়ে বোরো আবাদ করা ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা এখন চোখে অন্ধকার দেখছেন।
রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের তথ্য মতে, রাজশাহীতে চলতি বোরো মৌসুমে ৬৬ হাজার হেক্টর জমিতে ধানচাষ হয়েছে। কিন্তু তাপদাহ ও লু হাওয়ায় ২৮ হেক্টর জমির ধানগাছ পুড়েছে। হেক্টর প্রতি ৬ মেট্রিক টন ধান হিসেবে লোকসানের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৬৮ মেট্রিক টন।
রাজশাহীর পবা, তানোর ও গোদাগাড়ী উপজেলার কৃষকরা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। গত মার্চের তৃতীয় সপ্তাহ থেকে এসব এলাকায় বিরাজ করছে শুষ্ক বাতাস। প্রতিদিন তাপমাত্রা থাকছে ৩৫-৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরে। তাই মাঝে মাঝেই দেখা দিচ্ছে লু হাওয়া।
ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের রাজশাহী আঞ্চলিক কার্যালয়ের প্রধান ড. মো. ফজলুল ইসলাম বলেন, লু হাওয়ার কারণেই এটা হয়েছে। চলতি মৌসুমে দীর্ঘসময় ধরে বৃষ্টি না হওয়ায় আবহাওয়া রুক্ষ। ৪ এপ্রিল সারাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টি ছাড়া ঝড় শুরু হয়। সেদিন বাতাস ছিল অতিরিক্ত গরম। বাতাসের আর্দ্রতা ছিল না বললেই চলে। প্রায় শূন্যের কাছাকাছি আদ্রতা থাকার ফলে অতিরিক্ত গরমে সেদিন যেসব ধানের শীষ বের হয়েছিল সেগুলো হিটশক হয়ে ঝরে গেছে। তবে বৃষ্টি হলে এমনটা হতো না।
রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক কেজেএম আবদুল আউয়াল বলেন, ৪ এপ্রিল তীব্র বেগে ঝড় বাতাস প্রবাহিত হয়। তাপমাত্রা বেশি হওয়ায় ও বাতাসে আর্দ্রতা না থাকায় বোরো ধানের ক্ষেতের শীষ মরে গেছে। তিনি আরও বলেন, লু হাওয়ায় এখন পর্যন্ত রাজশাহীর ২৮ হেক্টর জমিতে বোরো ধান হিটশকে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এই বিভাগের আরও খবর