বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার
শিরোনাম
- বাংলাদেশের সর্বস্তরের মানুষের দাবি ইসলামপন্থীদের ঐক্য : মাসুদ সাঈদী
- চীনকে উড়িয়ে টানা তৃতীয় জয়ে শীর্ষে বাংলাদেশ
- নান্দাইলে বজ্রপাতে পিতা-পুত্রের করুণ মৃত্যু
- বিএনপি নির্বাচিত হলে প্রতিটি ঘরে ফ্যামিলি কার্ড দেওয়া হবে : টুকু
- রাজনীতি হবে দেশের স্বার্থে, জনমানুষের স্বার্থে : আখতার হোসেন
- বন্ধুত্ব থেকে প্রেমের সফল পরিণতি
- ইসরায়েলে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা
- ইরানে আফগানদের গণবহিষ্কার, ছাড়তে না পারলে গ্রেফতার
- ভেজাল টক দই যেভাবে চিনবেন
- গাজায় চলছে যুদ্ধ, তেলআবিবে ক্ষোভ ও প্রতিবাদ
- হাসারাঙ্গার বিশ্বরেকর্ড
- হাসিনাসহ ১০০ জনকে আদালতে হাজির হতে গেজেট প্রকাশ
- চুয়াডাঙ্গায় স্বাস্থ্য সহকারী নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ
- জলমহালের একমাত্র অধিকার প্রকৃত মৎস্যজীবীদের: ফরিদা আখতার
- ১০ম গ্রেডে উন্নীত হচ্ছেন প্রাথমিকের ৩০ হাজার প্রধান শিক্ষক
- ডেঙ্গু আক্রান্ত আরও ৩১৭ জন হাসপাতালে ভর্তি
- দেশে ২৪ ঘণ্টায় তিনজনের করোনা শনাক্ত
- ধর্ষণের শিকার হয়ে বিষ পান করা সেই কিশোরীকে বাঁচানো গেল না
- আমরা আশা করি একটা ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারব : সালাহউদ্দিন
- জন্মদিনে ঝড় তুললেন রণবীর, ধুরন্ধর’-এ ফিরলেন ভয়ংকর রূপে
চিটা ধরেছে কৃষকের স্বপ্নের ধানে
নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী:
অনলাইন ভার্সন

অতিরিক্ত গরমে তীব্র তাপদাহে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে যাচ্ছে ধানগাছ। রাজশাহীতে চলমান তাবদাহে হিটশকে পুড়ে গেছে ২৮ হেক্টর জমির ১৬৮ মেট্রিক টন ধান। ধানের শীষ নষ্ট হয়ে চিটায় পরিণত হয়েছে মাঠের পর মাঠের ফসল। কষ্টার্জিত সোনার ফসল হারিয়ে তাই এখন ক্ষতিগ্রস্ত ও দিশেহারা কৃষক। রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর বলছে, দিনদিন বাড়ছে হিটশকে ক্ষতিগ্রস্ত জমির পরিমাণ।
গত ৪ এপ্রিল রাতের কালবৈশাখীর পর বয়ে যাওয়া ঝড়ো গরম বাতাসে কৃষকদের ক্ষেতের ধানের এই ক্ষতি হয়। ধানের এমন ক্ষতিতে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন ক্ষতিগ্রস্ত চাষিরা। দূর থেকে ক্ষেতের ধানগাছগুলোকে স্বাভাবিক মনে হলেও ছড়ায় থাকা ধানগুলো চিটা ধরে গেছে। আবার বাতাসের তোড়ে কিছু ক্ষেতের ধান মাটির সঙ্গে মিশে গেছে। ফলে মহাজনের কাছ থেকে ঋণ নিয়ে বোরো আবাদ করা ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা এখন চোখে অন্ধকার দেখছেন।
রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের তথ্য মতে, রাজশাহীতে চলতি বোরো মৌসুমে ৬৬ হাজার হেক্টর জমিতে ধানচাষ হয়েছে। কিন্তু তাপদাহ ও লু হাওয়ায় ২৮ হেক্টর জমির ধানগাছ পুড়েছে। হেক্টর প্রতি ৬ মেট্রিক টন ধান হিসেবে লোকসানের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৬৮ মেট্রিক টন।
রাজশাহীর পবা, তানোর ও গোদাগাড়ী উপজেলার কৃষকরা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। গত মার্চের তৃতীয় সপ্তাহ থেকে এসব এলাকায় বিরাজ করছে শুষ্ক বাতাস। প্রতিদিন তাপমাত্রা থাকছে ৩৫-৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরে। তাই মাঝে মাঝেই দেখা দিচ্ছে লু হাওয়া।
ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের রাজশাহী আঞ্চলিক কার্যালয়ের প্রধান ড. মো. ফজলুল ইসলাম বলেন, লু হাওয়ার কারণেই এটা হয়েছে। চলতি মৌসুমে দীর্ঘসময় ধরে বৃষ্টি না হওয়ায় আবহাওয়া রুক্ষ। ৪ এপ্রিল সারাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টি ছাড়া ঝড় শুরু হয়। সেদিন বাতাস ছিল অতিরিক্ত গরম। বাতাসের আর্দ্রতা ছিল না বললেই চলে। প্রায় শূন্যের কাছাকাছি আদ্রতা থাকার ফলে অতিরিক্ত গরমে সেদিন যেসব ধানের শীষ বের হয়েছিল সেগুলো হিটশক হয়ে ঝরে গেছে। তবে বৃষ্টি হলে এমনটা হতো না।
রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক কেজেএম আবদুল আউয়াল বলেন, ৪ এপ্রিল তীব্র বেগে ঝড় বাতাস প্রবাহিত হয়। তাপমাত্রা বেশি হওয়ায় ও বাতাসে আর্দ্রতা না থাকায় বোরো ধানের ক্ষেতের শীষ মরে গেছে। তিনি আরও বলেন, লু হাওয়ায় এখন পর্যন্ত রাজশাহীর ২৮ হেক্টর জমিতে বোরো ধান হিটশকে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এই বিভাগের আরও খবর
সর্বশেষ খবর