বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার
শিরোনাম
- হারের পর বোলারদের ‘সরি’ বললেন লিটন
- মেট্রো রেলে ঝাঁকুনি, কারওয়ান বাজার-আগারগাঁও রুটে চলাচল বন্ধ
- স্বর্ণের দাম ভরিতে বাড়লো ৮ হাজার ৯০০ টাকা
- এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ জয় ওয়েস্ট ইন্ডিজের
- ৪৮তম বিশেষ বিসিএসে বাড়ছে না চিকিৎসকের পদ
- সোশ্যাল মিডিয়ায় অপপ্রচার রোধে দুই সেল গঠনের চিন্তা
- সারাদেশে পুলিশের বিশেষ অভিযান, গ্রেফতার ১৪৩২
- মাদক মুক্ত সমাজ ব্যবস্থা চালু করতে না পারলে পিছিয়ে যাব : এ্যানি
- টিকটক প্রতিনিধিদের সঙ্গে সিইসির বৈঠকে ‘অপপ্রচার’ ঠেকাতে আলোচনা
- বন্দরের বাড়তি ট্যারিফ নিয়ে শীঘ্রই স্টেকহোল্ডারদের সাথে বৈঠক হবে : আমীর হুমায়ুন
- সিরিজে টিকে থাকতে বাংলাদেশের দরকার ১৫০ রান
- নির্বাচনকালে নিজ বা শ্বশুরবাড়ি এলাকায় পোস্টিং হবে না
- শিক্ষায় পচন এত যে কমিশন করলেই সেরে যাবে না : পরিকল্পনা উপদেষ্টা
- প্লট দুর্নীতি : হাসিনা-পুতুল-জয়ের বিরুদ্ধে আরও ৮ জনের সাক্ষ্য
- সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন বই আকারে প্রকাশে প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান
- আগামীর নতুন বাংলাদেশ হবে শিক্ষানির্ভর : আমীর খসরু
- মেট্রোরেল যাত্রীদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন না হওয়ার অনুরোধ ডিএমটিসিএলের
- ক্লাস শুরুর দাবিতে অনশনে প্রস্তাবিত সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরা
- জলবায়ু পরিবর্তন সভ্যতাকে শেষ করবে না : বিল গেটস
- স্কুলে ভর্তিতে লটারি পদ্ধতি বহাল থাকছে আগামী শিক্ষাবর্ষেও
চিটা ধরেছে কৃষকের স্বপ্নের ধানে
নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী:
অনলাইন ভার্সন
অতিরিক্ত গরমে তীব্র তাপদাহে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে যাচ্ছে ধানগাছ। রাজশাহীতে চলমান তাবদাহে হিটশকে পুড়ে গেছে ২৮ হেক্টর জমির ১৬৮ মেট্রিক টন ধান। ধানের শীষ নষ্ট হয়ে চিটায় পরিণত হয়েছে মাঠের পর মাঠের ফসল। কষ্টার্জিত সোনার ফসল হারিয়ে তাই এখন ক্ষতিগ্রস্ত ও দিশেহারা কৃষক। রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর বলছে, দিনদিন বাড়ছে হিটশকে ক্ষতিগ্রস্ত জমির পরিমাণ।
গত ৪ এপ্রিল রাতের কালবৈশাখীর পর বয়ে যাওয়া ঝড়ো গরম বাতাসে কৃষকদের ক্ষেতের ধানের এই ক্ষতি হয়। ধানের এমন ক্ষতিতে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন ক্ষতিগ্রস্ত চাষিরা। দূর থেকে ক্ষেতের ধানগাছগুলোকে স্বাভাবিক মনে হলেও ছড়ায় থাকা ধানগুলো চিটা ধরে গেছে। আবার বাতাসের তোড়ে কিছু ক্ষেতের ধান মাটির সঙ্গে মিশে গেছে। ফলে মহাজনের কাছ থেকে ঋণ নিয়ে বোরো আবাদ করা ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা এখন চোখে অন্ধকার দেখছেন।
রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের তথ্য মতে, রাজশাহীতে চলতি বোরো মৌসুমে ৬৬ হাজার হেক্টর জমিতে ধানচাষ হয়েছে। কিন্তু তাপদাহ ও লু হাওয়ায় ২৮ হেক্টর জমির ধানগাছ পুড়েছে। হেক্টর প্রতি ৬ মেট্রিক টন ধান হিসেবে লোকসানের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৬৮ মেট্রিক টন।
রাজশাহীর পবা, তানোর ও গোদাগাড়ী উপজেলার কৃষকরা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। গত মার্চের তৃতীয় সপ্তাহ থেকে এসব এলাকায় বিরাজ করছে শুষ্ক বাতাস। প্রতিদিন তাপমাত্রা থাকছে ৩৫-৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরে। তাই মাঝে মাঝেই দেখা দিচ্ছে লু হাওয়া।
ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের রাজশাহী আঞ্চলিক কার্যালয়ের প্রধান ড. মো. ফজলুল ইসলাম বলেন, লু হাওয়ার কারণেই এটা হয়েছে। চলতি মৌসুমে দীর্ঘসময় ধরে বৃষ্টি না হওয়ায় আবহাওয়া রুক্ষ। ৪ এপ্রিল সারাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টি ছাড়া ঝড় শুরু হয়। সেদিন বাতাস ছিল অতিরিক্ত গরম। বাতাসের আর্দ্রতা ছিল না বললেই চলে। প্রায় শূন্যের কাছাকাছি আদ্রতা থাকার ফলে অতিরিক্ত গরমে সেদিন যেসব ধানের শীষ বের হয়েছিল সেগুলো হিটশক হয়ে ঝরে গেছে। তবে বৃষ্টি হলে এমনটা হতো না।
রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক কেজেএম আবদুল আউয়াল বলেন, ৪ এপ্রিল তীব্র বেগে ঝড় বাতাস প্রবাহিত হয়। তাপমাত্রা বেশি হওয়ায় ও বাতাসে আর্দ্রতা না থাকায় বোরো ধানের ক্ষেতের শীষ মরে গেছে। তিনি আরও বলেন, লু হাওয়ায় এখন পর্যন্ত রাজশাহীর ২৮ হেক্টর জমিতে বোরো ধান হিটশকে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এই বিভাগের আরও খবর
সর্বশেষ খবর
মাদুরোকে ধরার গুপ্তচর নাটক: পাইলটকে প্রলুব্ধ করে ব্যর্থ হলো যুক্তরাষ্ট্র
২৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম
১০০ বিলিয়ন ডলারের নগরী এখন ভূতুড়ে; জনশূন্য আকাশচুম্বী অট্টালিকা, জল ভরা কুমিরে!
৯ ঘণ্টা আগে | পাঁচফোড়ন