বগুড়ার নন্দীগ্রামে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জোরপূর্বক স্থাপনা নির্মাণ কেন্দ্র করে টানা তিনদিন দুই পক্ষের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। উপজেলার সদর ইউনিয়নের ছোট ডেরাহার গ্রামের মৃত আহম্মেদ আলীর ছেলে আব্দুস সামাদ থানায় লিখিত অভিযোগের পর জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ ফোন করলে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করলেও আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ করেন।
মঙ্গলবার বিকেলে প্রতিপক্ষ একই গ্রামের মৃত হারেছ আলীর ছেলে সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুর রশিদ লোকজন নিয়ে মামলার বাদী আব্দুস সামাদের পরিবারের লোকজনের ওপর হামলা করে বলেও অভিযোগ করা হয়। জমিজমা বিরোধের জেরে ছোট ডেরাহার গ্রামে দুই পক্ষের মধ্যে বড় ধরণের সংঘর্ষের আশংকা করছেন স্থানীয়রা।
অভিযোগে জানা যায়, ১৭.৫ শতক পারিবারিক সম্পত্তি ফিরে পাবার জন্য ছোট ডেরাহার গ্রামের কয়েকজনের বিরুদ্ধে সম্প্রতি বগুড়ার আদালতে মামলা করেন আব্দুস সামাদ। মামলা চলাকালে সম্পত্তির ওপর অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আবেদন করেন। সিনিয়র সহকারি জজ আদালতের বিচারক শাহরিয়ার শামস ওই সম্পত্তির ওপর অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আবেদন মঞ্জুর করে মামলার চূড়ান্ত নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত উভয়পক্ষকে স্থিতাবস্থা বজায় রাখার নির্দেশ দেন।
এদিকে আদালত অবমাননা করে গত রবিবার প্রতিপক্ষরা দলবদ্ধ হয়ে দিনে ও রাতে ইট দিয়ে ভবন নির্মাণকাজ করছেন। এ নিয়ে গত সোমবার থানায় অভিযোগ করেন আব্দুস সামাদ। থানায় অভিযোগ করে বাড়ি ফিরলে মামলার বাদী আব্দুস সামাদসহ তার পরিবারের লোকজনদের ওপর হামলা করে প্রতিপক্ষরা। উভয় পক্ষের মধ্যে টানটান উত্তেজনা দেখা দিলে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ ফোন দেয় আব্দুস সামাদ। পরে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে ফিরে যায়। পুলিশ যাওয়ার পরপরই পুনরায় স্থাপনা নির্মাণকাজ করছেন অভিযুক্তরা। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
বগুড়ার নন্দিগ্রাম থানার ওসি মো. কামরুল ইসলাম বলেন, ওই সম্পত্তির ওপর উভয়পক্ষকে স্থিতাবস্থা বজায় রাখার নির্দেশ দিয়েছেন বিজ্ঞ আদালত। তবে থানা পুলিশকে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেননি। নির্দেশ দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিডি প্রতিদিন/আল আমীন