শরীয়তপুর সদর উপজেলার গঙ্গানগর বাজারে গতকাল সোমবার মাঝ রাতে এক ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় সাতটি দোকান সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ব্যবসায়ীদের নগদ টাকাসহ প্রায় ৫০ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয় বলে দাবি করেছেন ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা।
এদিকে অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মন্দীপ ঘরাই তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং ক্ষতিগ্রস্তদের সরকারি সহায়তার আশ্বাস প্রদান করেন।
বাজারের নৈশ-প্রহরী ও এলাকা সূত্রে জানা যায়, ২৮ জুন সোমবার রাত ১১টার দিকে নৈশ-প্রহরীরা হঠাৎ বাজারের একটি দোকান ঘরে আগুনের সূত্রপাত দেখতে পায়। নৈশ প্রহরীরা তাৎক্ষণিক বাজারের মসজিদ থেকে আগুন লাগার ঘোষণা দিলে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এবং কয়েক হাজার লোক আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালায়, সংবাদ দেয় হয় ফায়ার সার্ভিসকে।
সংবাদ পেয়ে শরীয়তপুর সদর ও জাজিরা উপজেলা থেকে ফায়ার সার্ভিসের দুইটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণের জন্য ঘটনাস্থলে আসেন। ফায়ার সার্ভিস ও এলাকাবাসীর সহায়তায় প্রায় দুই ঘণ্টা চেষ্টার ফলে রাত একটার দিকে আগুন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। এ ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে একটি দোকানের আংশিক ক্ষতিসহ, সাতটি দোকানের মালামালসহ সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
দোকানদার ও বাজার কমিটির প্রাথমিক ধারণা অনুযায়ী আনুমানিক ৫০ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, একটি আয়রনের দোকান থেকে অগ্নিপাতের সূত্রপাত ঘটে থাকতে পারে। ক্ষতিগ্রস্ত দোকান মালিকরা হলেন, দিদারের পাইকারি ও খুচরা মুদি দোকান, মতিনের ইলেকট্রনিক্স ও বিকাশের দোকান, খলিল মাদবরের কাঁচামালের আড়ত, মান্নান মাদবরের আয়রনের দোকান, আবু আলেমের কাঁচামালের দোকান, সিদ্দিক ফরাজীর কাঁচামালের দোকান, কালু ভূঁইয়ার মুদি দোকান, শামসুদ্দিনের চায়ের দোকান।
জাজিরা ফায়ার সার্ভিস স্টেশন অফিসার শামীম রেজা জানান, সংবাদ পেয়ে আমরা তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে এসেছি এবং আগুন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছি। কত টাকা বা কি পরিমাণ মালামাল ক্ষতি হয়েছে, তা তদন্ত ছাড়া এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না।
সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মন্দীপ ঘরাই বলেন, সংবাদ পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসন যেকোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে আছে এবং থাকবে। ক্ষতিগ্রস্তদের আবেদন করতে বলা হয়েছে। সরকারিভাবে তাদের সহায়তা প্রদান করা হবে। তবে কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা তদন্ত ছাড়া বলা সম্ভব হচ্ছে না।
বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর