কুমিল্লার চান্দিনায় কিশোরী সালমা আক্তার হত্যাকাণ্ডে পিতাসহ সাতজনকে আসামি করে মামলা করেছে পুলিশ। ওই মামলায় পিতা সোলেমান মিয়াসহ চার আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতার তিন আসামিকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। ঘটনার মূল হোতা কিশোরী সালমা আক্তারের পিতা সোলেমান মিয়া (৪৫) অসুস্থ থাকায় তাকে পুলিশি হেফাজতে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। সোমবার পুলিশ বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
গ্রেফতারকৃত অপর তিনজন হলেন- চান্দিনার কংগাই গ্রামের মৃত আদম আলী’র ছেলে আব্দুল বাতেন (৫২), লোকমান হোসেন (৩৫) ও মৃত আব্দুল মোনাফ মান্নানের ছেলে সফিউল্লাহ (৪২)।
চান্দিনা থানার উপ-পরিদর্শক নোমান হোসেন জানান, যেহেতু সোলেমান মিয়া ওই হত্যা মামলার বাদী সেহেতেু ওই মামলায় বাদীকে গ্রেফতার দেখানো সম্ভব হয়নি। পরবর্তীতে গত ৮ অক্টোবর পুলিশ বাদী হয়ে সাতজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞতনামা আরও ৩/৪জনকে আসামি করে মামলা করেন। ওই মামলায় নিহতের পিতা সোলেমান ব্যাপারীসহ আরও ৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের রবিবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এর আগে গ্রেফতারকৃত আসামি আব্দুর রহমান ও মো. খলিলকেও নতুন মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।
চান্দিনা থানার অফিসার ইন-চার্জ মোহাম্মদ আরিফুর রহমান বলেন, কিশোরী সালমা হত্যার পর নিহতের পিতা বাদী হয়ে যে মামলা দায়ের করেছেন ওই মামলার তদন্ত কর্মকতা উপ-পরিদর্শক সুজন দত্ত। মামলার রহস্য উদঘাটনের পর এস.আই সুজন দত্ত বাদী হয়ে আরও একটি মামলা করেছেন। ওই মামলায় তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এছাড়া ঘটনার পর যে দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল তাদেরকেও নতুন মামলা গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত ২ অক্টোবর চান্দিনার বসন্তপুর ভূইয়াপাড়া গ্রামের একটি পুকুর থেকে কিশোরী সালমা আক্তারের ক্ষত-বিক্ষত মরদেহ উদ্ধারের পর নিহতের পিতা সোলেমান মিয়া বাদী হয়ে ১০জনের নাম উল্লেখ করে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছিলেন। ওই মামলার রহস্য উদঘাটন করে দেখা যায় প্রতিপক্ষ ভাতিজাদের মামলায় ফাঁসাতে কিশোরী সালাম আক্তারকে তার পিতা সোলেমান মিয়াসহ সাতজন পরিকল্পিতভাবে খুন করে। ঘটনার সাথে জড়িত দুই আসামিকে গ্রেফতারের পর মামলার মোড় ঘুরে যায়।
বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ