জমি নিয়ে বিরোধে ময়মনসিংহের ভালুকায় মাকে গলা কেটে ও কুপিয়ে হত্যার ঘটনার আড়াই বছর পর ছেলের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে দশ হাজার টাকা অর্থদন্ডের আদেশ দেওয়া হয়। সোমবার দুপুরে ময়মনসিংহ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো: হেলাল উদ্দিন এ রায় দেন।
মামলা বিবরণী সূত্রে জানা গেছে, জেলার ভালুকা উপজেলার জামিরদিয়া এলাকার ডুবালিয়াপাড়া এলাকার প্রয়াত আবদুল জব্বারের স্ত্রী মরিয়ম বেগম। তিন ছেলে ও এক মেয়ের জনক ছিলেন ওই দম্পতি। নিজের সকল সম্পত্তি সন্তানদের মধ্যে ভাগাভাগি করে দিয়েছিলেন জব্বার। কিন্তু নিজের ভাগের সম্পত্তির দশ শতাংশ মায়ের কাছে বিক্রি দেন মো. মোস্তফা। ভাগাভাগির সময় পৈত্রিক বাড়ি পড়ে মোস্তফার অংশে। সেখানের একটি ঘরে থাকতেন মা মরিয়ম। মোস্তফা নিজের বিক্রি করা দশ শতক জমি ফিরিয়ে দিতে মায়ের উপর চাপ শুরু করেন। মা রাজী না হওয়ায় নিজ বাড়ির ঘর থেকে উচ্ছেদের চেষ্টা শুরু করেন মোস্তফা। এ নিয়ে বিরোধের জেরে মাকে হত্যার পরিকল্পনা করেন ছেলে। ২০১৮ সালের ২৩ ডিসেম্বর ঘুমন্ত মাকে গলাকেটে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়।
এ ঘটনায় নিহতের ছেলে মো. শাহ জালাল বাদি হয়ে ভালুকা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এতে ভাই মোস্তফাসহ ৫ জনকে আসামি করা হয়। পুলিশ তদন্ত শেষে ২০১৯ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি মোস্তফাকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করে আদালতে।
আদালত শুনানি শেষে সোমবার রায়ের দিন নির্ধারণ করেন। রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন ময়মনসিংহ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিটর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট কবীর উদ্দিন ভুঁইয়া।
বিডি প্রতিদিন/এএম