রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দির ইসলামপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বালিয়াকান্দি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য মো. আবদুল হান্নানের ভরাডুবি হয়েছে। তৃতীয় ধাপের অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনে তিনি আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আহমমদ আলীর কাছে ৪ হাজার ৩৬৪ ভোটে পরাজিত হয়েছেন।
রবিবার রাতে উপজেলা নির্বাচন অফিসার ও রিটার্নিং অফিসার নিজাম উদ্দীন আহম্মেদ স্বাক্ষরিত ফলাফলে এ তথ্য পাওয়া যায়। তার তথ্যমতে, আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মো. আবদুল হান্নান নৌকা প্রতীক নিয়ে ৬ হাজার ৯৬৪ ভোট পেয়েছেন। অন্যদিকে, আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কৃত বিদ্রোহী প্রার্থী আহমমদ আলী আনারস প্রতীক নিয়ে ১১ হাজার ৩২৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। ইউনিয়নে জাতীয় পার্টি মনোনীত মো. টুটুল মোল্লা লাঙল প্রতীক নিয়ে ৩৬৬ ভোট পেয়েছেন।
স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জেলা পরিষদের সদস্য ছিলেন। তাকে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন চাওয়া ঠিক হয়নি। উপজেলাতে তিনি জনপ্রিয় ব্যক্তি না হয়েও গুরুত্বপূর্ণ দুইটি পদে থাকার কারণে নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। এছাড়া নিজ ইউনিয়নের একটি ওয়ার্ডে তার ভাইকে দাঁড় করানোর কারণে মানুষের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। আওয়ামী লীগের সভাপতির পদ দখল করে ইউপি নির্বাচনে ভূমিকা না রাখার ব্যাপারে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন দলীয় মনোনয়ন পাওয়া চেয়ারম্যান প্রার্থীরা।
মো.আবদুল হান্নান বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, আমাকে ষড়যন্ত্র করে হারানো হয়েছে। বিগত উপজেলা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের মধ্যে একটি দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়। সেই দ্বন্দ্বকে কেন্দ্র করে আমাকে হারানো হয়েছে।
বালিয়াকান্দি উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও বালিয়াকান্দি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘মানুষ আমাদের ভোট দেয়নি তাই হেরে গেছি, তবে হারের জন্য অন্তরালের কোন্দল কাজ করেছে।’
বিষয়টি নিয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ফকীর আব্দুল জব্বার বলেন, “লোভে পাপ, পাপে মৃত্যু”-তার ক্ষেত্রে সেটি ঘটেছে। তিনি জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান ছিলেন সেখানে ভালো ছিলেন। তাকে নিষেধ করেছিলাম শুনেন নাই। সব একার দরকার হলে মানুষের মধ্যে ক্ষোভের জন্ম হয়। তাই তিনি হেরেছেন।
বিডি প্রতিদিন/এমআই