অবশেষে নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রতন কুমার সাহাকে ডিমোশন দিয়ে মেডিকেল অফিসার হিসেবে বদলি করা হয়েছে। এছাড়া অনিয়মের মাধ্যমে উত্তোলনকৃত টাকা ফেরত দেওয়ার নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে। সম্প্রতি স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে তাকে বাগাতিপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা থেকে ডিমোশন দিয়ে রাজধানীর তেজগাঁও শিল্প এলাকার বিজি প্রেস আরবান ডিসপেনসারি মেডিকেল অফিসার হিসেবে বদলি করা হয়েছে।
এর আগে বিভিন্ন মিডিয়াতে গত ২৪ জুলাই ‘স্বাস্থ্য কর্মকর্তার পকেটে টিকার টাকা’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ওই প্রতিবেদনের প্রেক্ষিতে নাটোর সিভিল সার্জন অফিস থেকে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
তদন্ত কমিটি ঘটনার সত্যতা পেয়ে রিপোর্ট দাখিল করার পর স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা রতনকুমার সাহার বিরুদ্ধে কেন বিভাগীয় মামলা করা হবে না, তা জানতে চায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। অধিদপ্তরের উপপরিচালক কামরুন্নাহারের পাঠানো এমন একটি চিঠি গত ৪ অক্টোবর নাটোরের সিভিল সার্জনের কাছে পৌঁছে।
ওই চিঠিতে বলা হয়, নাটোর সিভিল সার্জনের তিন সদস্যের গঠিত তদন্ত কমিটি দুর্নীতির প্রমাণ পেয়েছে। আপনার বিরুদ্ধে ভুয়া বিল ভাউচার দিয়ে টাকা উত্তোলনের বিষয়ে দুর্নীতি ও অসাদচরণের বিষয়ে কেন বিভাগীয় মামলা ও তথ্যাদি মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করা হবে না মর্মে পত্র প্রাপ্তির ৭দিনের মধ্যে জবাব চেয়েছে স্বাাস্থ্য অধিদপ্তর। এরপর রতন কমুার সাহা জবাব দাখিলের পর তার বিরুদ্ধে এই শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
এ বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন) ডা. সামিউল ইসরামের কাছে বার বার ফোন ও টেক্সট করলেও তিনি ফোন ধরেননি। ফলে স্বাস্থ্যঅধিদপ্তরের কোনো বক্তব্য নেওয়া যায়নি। এ ব্যাপারে নাটোরের সিভিল সার্জন ডা. মিজানুর রহমান বলেন, বাগাতিপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা রতনকুমার সাহাকে ডিমোশন দিয়ে বদলি করা হয়েছে। এছাড়া উত্তোলনকৃত টাকা তাকে ফেরত দিতে হবে।
উল্লেখ্য, ভুয়া বিল ভাউচার ব্যবহার করে সরকারি বরাদ্দের সাড়ে ১৭ লাখ টাকা আত্মসাৎ করাসহ নানা অভিযোগ রয়েছে ডা. রতন কুমার সাহার বিরুদ্ধে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল