কনকনে ও তীব্র শীতে কাপঁছে উত্তরের দিনাজপুর। শীতে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে। দুর্ভোগে পড়েছেন ছিন্নমূল ও শ্রমজীবী মানুষরা। কুয়াশাও বাড়ছে। দুপুরের পর এক ঝলক দেখা মিলছে সূর্যের। আকাশ মেঘলা ও হিমেল বাতাসে শীতের তীব্রতাকে বাড়িয়ে দিয়েছে। সোমবার দিনাজপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এটি দেশের দ্বিতীয় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।
দিনাজপুর সদর উপজেলার গোপালগঞ্জ ধানের হাটে ধান নিয়ে আসা রিকশাভ্যান শ্রমিক বুধা রাম রায় বলেন, ‘একদিন কাম না করিলে পেটের ভাত হয় না। বাধ্য হই কামোত বাহির হবা হচে। কিন্তু পৌষের এই জাড়ে (শীত) হাড্ডিসহ কাঁপি যাচ্ছে। কি করিমো পেটের তানে এ জাড় হামাক সহ্য করিবায় হচে।’
দিনাজপুর আঞ্চলিক আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ মো. তোফাজ্জল হোসেন জানান, হিমালয়ের পাদদেশে অবস্থিত এই অঞ্চলে উত্তরের হিমেল বায়ু সক্রিয় রয়েছে। এতে রবিবার দিনাজপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১২.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। একদিন পর সোমবার দিনাজপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সোমবার এটি দেশের দ্বিতীয় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। সকাল ৬টায় বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৫-৭ কিলোমিটার। সকাল ৯টার পর ওই বাতাসের গতিবেগ বৃদ্ধি পেয়ে দাড়ায় ঘণ্টায় ১০-১৪ কিলোমিটার। ফলে বেশি শীত অনুভূত হচ্ছে।
বিডি প্রতিদিন/এমআই