২৭ জানুয়ারি, ২০২২ ২০:৫৪

প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে কাদের মির্জার ৯ প্রার্থীর অভিযোগ

নোয়াখালী প্রতিনিধি

প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে কাদের মির্জার ৯ প্রার্থীর অভিযোগ

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচন নিয়ে এবার বসুরহাট পৌরসভার আলোচিত মেয়র আবদুল কাদের মির্জার সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থীরা প্রতিপক্ষের প্রার্থীদের বিরুদ্ধে নানান অভিযোগ তুলেছেন।

বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমানের কাছে আট ইউনিয়নের নয়জন চেয়ারম্যান প্রার্থী তাদের অভিযোগ দায়ের করেছেন। এরা সবাই মেয়র আবদুল কাদের মির্জার সমর্থিত ইউপি চেয়ারম্যান প্রার্থী। আগামি ৭ ফেব্রুয়ারি সপ্তম ধাপে কোম্পানীগঞ্জের আট ইউনিয়নের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

অভিযোগকারীরা হলেন- ১নং সিরাজপুরের নাজিম উদ্দিন মিকন (অটোরিকশা), ২নং চরপার্বতীর মোজাম্মেল হোসেন কামরুল (টেলিফোন), ৩নং চরহাজারীর মহি উদ্দিন সোহাগ (আনারস), ৪নং চরকাঁকড়ার হাজী সফি উল্যাহ (অটোরিকশা), ৫নং চরফকিরার জামাল উদ্দিন লিটন (মোটর সাইকেল), ৬নং রামপুরের ইকবাল বাহার চৌধুরী (মোটর সাইকেল), ৭নং মুছাপুরের আইয়ুব আলী (আনারস), ৮নং চরএলাহীর আবদুল মালেক (চশমা) ও সাহাব উদ্দিন (অটো রিকশা)।

অভিযোগে প্রার্থীরা জানান, কাদের মির্জার প্রতিপক্ষ সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদল, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা খিজির হায়াত খান ও সেতুমন্ত্রীর ভাগনে ফখরুল ইসলাম রাহাত বিভিন্ন ইউনিয়নে গিয়ে কাদের মির্জা সমর্থিত প্রার্থীদের বিরুদ্ধে প্রভাব বিস্তার ও বিষোদগার করছেন। এতে নির্বাচনের সুষ্ঠু  পরিবেশ নিয়ে তারা শঙ্কিত।

২নং চরপার্বতী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থী মোজাম্মেল হোসেন কামরুল বলেন, অভিযুক্তরা আমার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মাহবুবুর রশিদ মঞ্জুর (সেতুমন্ত্রীর ভাগনে) পথসভায় এসে আমি ও আমার কর্মীদের বিরুদ্ধে হুমকি দিয়ে বক্তব্য দিয়েছেন। 

৭নং মুছাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থী আইয়ুব আলী বলেন, অভিযুক্তদের আচরণে বুঝা যাচ্ছে তারা আমার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর পক্ষ নিয়ে ভোটের পরিবেশ নষ্ট করবে। এছাড়া তারা বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জার বিরুদ্ধে বিভিন্ন রকম মানহানিকর বক্তব্য দিচ্ছেন। তাই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আবেদন করেছি।

বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা বলেন, আমাকে বার বার হত্যা চেষ্টাকারীরা ইউপি নির্বাচনে প্রার্থী হয়ে আমার অনুসারীদের হুমকি দিচ্ছে। অপরাধী আমার কোনো কর্মী হলেও তাকে আইনের আওতায় আনতে প্রশাসনকে বলেছি। অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন না হলে জনগণকে নিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে।

অভিযোগের বিষয়ে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদল বলেন, কাদের মির্জার অনিয়মের বিরুদ্ধে প্রার্থীদের অভিযোগের বিপরীতে পাল্টা অভিযোগ দিয়ে শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা করছে তারা। সুষ্ঠু নির্বাচন হলে কাদের মির্জার প্রার্থীদের ভরাডুবির আশঙ্কায় নানা অজুহাত সৃষ্টি করছেন তারা।  

নোয়াখালীর জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান বলেন, দু’পক্ষের পাল্টাপাল্টি অভিযোগগুলো খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এরআগে বুধবার (২৬ জানুয়ারি) দুপুরে জেলা প্রশাসকের কাছে কোম্পানীগঞ্জের আটজন চেয়ারম্যান প্রার্থী বসুরহাট পৌর মেয়র আবদুল কাদের মির্জার বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ করেন।

প্রসঙ্গত, আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি সপ্তম ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে কোম্পানীগঞ্জের আটটি ইউনিয়নে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এসব ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ৩৯ জন, সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে ৭৯ জন ও সাধারণ সদস্য পদে ৩০৫ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তবে আওয়ামী লীগের দুপক্ষের বিবাদে কাউকেই নৌকা প্রতীক দেওয়া হয়নি।

বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর