খুলনার ফুলতলায় ধান ক্ষেত থেকে উদ্ধার হওয়া গলা কাটা নারীর মস্তক উদ্ধার করেছে র্যাব। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে দুজনকে আটক করা হয়েছে।
র্যাব জানিয়েছে, আটক দু’জন স্বীকার করেছে যে, তারাই পরিকল্পিতভাবে ওই নারীকে ধর্ষণের পর হত্যা করে। পরে মরদেহের মস্তক বিচ্ছিন্ন করে ঘটনাস্থলের পাশের নির্মাণাধীন একটি বাড়ির বাথরুমের বালির মধ্যে পুতে রাখে। আর মরদেহটি ধানক্ষেতের মধ্যে ফেলে রাখে।
র্যাব-৬ সিপিসি-৩ যশোরের কমান্ডার লে. কমান্ডার এম নাজিউর রহমান জানান, ২৫ জানুয়ারি উত্তরডিহি গ্রামের মুসলিমা খাতুন নামের ওই নারী বেড়ানোর জন্য বাড়ি থেকে বের হন। এরপর থেকে তার খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে মুসলিমার মোবাইলফোন থেকে তার বোনের মোবাইলে মেসেজ পাঠানো হয় যে, মুসলিমাকে অজ্ঞাত স্থানের একটি বাগানে আটকে রাখা হয়েছে। পরদিন মুসলিমার বোন আকলিমা জানতে পারেন উত্তরডিহি মধ্যপাড়ার শেখ মনির মেম্বরের বাড়ির পাশে ধান ক্ষেতে অজ্ঞাত এক নারীর গলা কাটা মরদেহ পড়ে আছে। সেখানে গিয়ে আকলিমা তার বোনকে শনাক্ত করেন। এ ব্যাপারে ফুলতলা থানায় আকলিমা একটি মামলাও করেন।
এরপর ওই নারীর মস্তক উদ্ধার ও আসামিদের আটকে গোয়েন্দা তৎপরতা শুরু করে র্যাব-৬ সিপিসি-৩ যশোর এবং র্যাবের স্পেশাল কোম্পানি। শনিবার ফুলতলা উপজেলার যুগ্নিপাশা গ্রামের রিয়াজ খন্দকার (২২) এবং ইমন সর্দার সোহেল (২০) নামে দুই যুবককে আটক করা হয়। এ দুজন র্যাবের কাছে হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে। তাদের স্বীকারোক্তিতে মুসলিমার মস্তক উদ্ধার করা হয়।
র্যাব-৬ সিপিসি-৩ এর কমান্ডার লে. কমান্ডার এম নাজিউর রহমান জানান, উদ্ধার হওয়া আলামত ও আসামিদের ফুলতলা থানার সংশ্লিষ্ট মামলার তদন্ত কর্মকর্তার কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এএম