পঞ্চগড়ে গত দুদিন ধরে বইছে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ। তাপমাত্রা নেমে এসেছে এক অঙ্কে। শনিবার সকাল নয়টায় ৭ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। পঞ্চগড় ও কুড়িগ্রামের রাজারহাটে যৌথভাবে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বিরাজ করছে।
আবহাওয়া অফিসের ভাষায় ৬-৮ এর মধ্যে তাপমাত্রা বিরাজ করলে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বলা হয়। সকাল ১০টার পর সূর্যের দেখা মিললেও তাপ ছড়াতে পারেনি।
মধ্য মাঘের পর তাপমাত্রার পারদ দ্রুত নামছে। বাড়ছে শীতের দাপট। ঘন কুয়াশা আর হাঁড় কাপানো কনকনে শীত এ জনপদের মানুষকে কাবু করে ফেলেছে। হিমালয় থেকে ধেয়ে আসা মাঝারি শৈত্যপ্রবাহের ফলে আবহাওয়ার এমন রুপ দেখা দিয়েছে।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রাসেল শাহ জানিয়েছেন, আগামী ৩-৪ দিন এখানে মৃদু থেকে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাবে। শীত মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল আজ পঞ্চগড়ে। বাতাসের পরিমান বেড়ে যাওয়ার কারনে প্রচন্ড শীত অনুভূত হচ্ছে। তাপমাত্রার পারদ কমছে। যা এ মৌসুমেরও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। এমন আবহাওয়া অপরিবর্তিত থাকতে পারে। এখন চলছে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ।
জেলা প্রশাসক মো. জহুরুল ইসলাম জানান, সরকারি-বেসরকারি মিলে জেলায় ৪০ হাজার শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে। আরো শীতবস্ত্রের চাহিদা চেয়ে মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেয়া হয়েছে। আশা করছি খুব শিগগিরই আরও শীতবস্ত্র বরাদ্দ পাওয়া যাবে। জেলা প্রশাসক সরকারের পাশাপাশি সকল বেসরকারি ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন এবং সামর্থ্যবানদের শীতার্তদের রক্ষায় এগিয়ে আসার আহবান জানিয়েছেন।
বিডি প্রতিদিন/এএম