একটানা তিন দিন ধরে বয়ে যাওয়া মৃদু শৈত্যপ্রবাহে হিমেল হাওয়া আর মাঘের কনকনে শীতে বিপর্যস্ত দিনাজপুরের মানুষ। উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে বইছে হিমেল হাওয়া, কুয়াশার চাদরে ঢেকে আছে চারপাশ। হাড় কাঁপানো ও কনকনে শীতে ব্যাহত হয়েছে দিনমজুর, ছিন্নমূল মানুষের জীবনযাত্রা। যদিও তাপমাত্রা ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পাবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
রবিবার সকাল ৬টায় দিনাজপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
বিকালের থেকেই হিমেল হাওয়ায় হাড় কাপাঁনো শীত বাড়তে থাকে। মাঝারি শৈত্যপ্রবাহে অব্যাহত কুয়াশা আর ঠাণ্ডায় প্রয়োজন ছাড়া কেউ বাড়ির বাইরে বের হচ্ছে না। বিশেষ করে সকালে এবং সন্ধ্যার পর মানুষের চলাচল কমে যায়। শীতে বিভিন্ন এলাকার ঘরে ঘরে শিশু, বৃদ্ধরা শীতজনিত রোগে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। কুয়াশায় বীজতলা রক্ষায় পলিথিন ব্যবহার করতে হচ্ছে কৃষককে। কুয়াশায় গম, বোরো বীজতলা, আলু, সবজি চাষে ক্ষতির আশঙ্কা করছেন কৃষক। তবে রবিবার সকালে তীব্র কুয়াশা থাকলেও সকাল ৯টার দিকে সূর্য উঠেছে যদিও তাপের প্রখরতা ছিল কম। শহরের অনেক স্থানে রাতে ও সকালে খড়কুটো জ্বালিয়ে অনেককে শীত নিবারণ করতে দেখা যায়।
অটোরিকশা চালক ফারুকসহ কয়েকজন জানান, শীত আমাদের খেটে খাওয়া মানুষের জন্য কষ্টের। সকালে বের হয়েও শীতের কারণে যাত্রী তেমন নাই।
শহরের ষষ্টিতলা এলাকার নাহিদ বলেন, শীতের কারণে কাজ করতে ভালো লাগে না। হাত-পা জড়ো হয়ে আসে। আবার কাজও ঠিকমতো পাওয়া যায় না। এতে কষ্টের মধ্যে দিন যাপন করছি।
শশরা এলাকার কৃষক আলী আকবর জানান, সকালে কুয়াশা আর কনকনে শীতের কারণে জমিতে কাজে যেতে পারছি না। যদিও প্রয়োজনে গেলে তেমনভাবে কাজ করতে পারি না।
দিনাজপুর আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ তোফাজ্জল হোসেন জানান, দিনাজপুরে সকাল ৬টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আর্দ্রতা ৯০ শতাংশ রেকর্ড করা হয়। বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৩-৪ কিলোমিটার। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এটি উত্তর বা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৮-১০ কিলোমিটার গতিতে ধাবিত হতে পারে।
তিনি আরও জানান, কুড়িগ্রামের রাজারহাটে ৭.৫, তেঁতুলিয়া ৬.৮, সৈয়দপুরে ৮.২, রংপুর ৯.৫, ডিমলা ৮.৯, নওগাঁ ৮.৫, রাজশাহী ৮.৬, চুয়াডাঙ্গায় ৮.৬ এবং শ্রীমঙ্গলে ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। তবে চলমান শৈত্যপ্রবাহটি অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া অফিসের ওই কর্মকর্তা।
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা