ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে অভিযান-১০ লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডে নিখোঁজ স্ত্রী আর শিশু দু'সন্তানকে এখনো খুঁজে ফিরছেন রাসেল ওরফে কালু। কখনো জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে, কখনো নিহতদের সমাধীস্থলে ঘুরছেন তিনি। এই ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে রাসেলের শাশুড়ি জাহানারা বেগম (৬০) নিহত হয়।
শাশুড়ির অগ্নিদগ্ধ মৃতদেহ শনাক্ত করতে পারলেও দু'শিশু সন্তান আব্দুল্লাহ (৪), আছিয়া (১) ও স্ত্রী শারমিন আক্তার পান্নার (২৫) মৃতদেহ শনাক্ত করতে পারেননি রাসেল। তার ধারনা দু'শিশু সন্তানসহ স্ত্রী আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
বরগুনার সদর উপজেলার ঢলুয়া ইউনিয়নের রায়ভোগ গ্রামের কনু হাওলাদারের ছেলে রাসেল পেশায় নির্মাণ শ্রমিক। নভেম্বরে স্ত্রী আর সন্তানদের নিয়ে চিকিৎসার উদ্দেশে ঢাকা যায়। শ্বশুর বাড়ি ঢাকার হাজারীবাগের বৌবাজারে। স্ত্রীকে চিকিৎসক দেখিয়ে ফলোআপের জন্য শ্বশুর বাড়ি রেখে রাসেল চলে আসে বরগুনা। শাশুড়ি জাহানারা বেগম মেয়ে আর দু'নাতিকে নিয়ে ২৩ ডিসেম্বর অভিযান-১০ লঞ্চে বরগুনা রওনা দেন। ২৪ ডিসেম্বর সকালে জানতে পারেন লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের সংবাদ। ছুটে যান ঝালকাঠি। খুঁজতে থাকেন হন্য হয়ে। এক পর্যায়ে শাশুড়ির অগ্নিদগ্ধ মৃতদেহ শনাক্ত করতে পারলেও স্ত্রী সন্তানদের মৃতদেহ। বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে কোথায়ও খুঁজে পায়নি আপন স্বজনদের। ডিএনএ পরীক্ষার ফলাফল জানতে ঘুরছেন জেলা প্রশাসকের জুডিশিয়াল শাখায়।
রাসেল বলেন, আমার স্ত্রী আর সন্তানদের কবরটা দেখিয়ে দেন। আর কতোদিন ঘুরবো?
বিডি প্রতিদিন/হিমেল