নেত্রকোনায় আশঙ্কাজনকহারে বেড়েছে আত্মহত্যার প্রবণতা। নানা বয়সের নারী পুরুষ গলায় ফাঁস টানিয়ে বিষ খেয়ে বেছে নিচ্ছেন আত্মহত্যার পথ। শিশু কিশোর থেকে বৃদ্ধ পর্যন্ত, বাদ যাচ্ছে না কেউ। তবে শিশু কিশোরের সংখ্যাই বেশি। এদের মধ্যে রয়েছে স্কুল পড়ুয়া থেকে শুরু করে ৭০ বছরের বৃদ্ধ। রশি, ওড়না, অথবা গামছা দিয়েই গলায় ফাঁস নিয়েছেন তারা। জেলায় পুলিশ বিভাগের সূত্রমতেই ৬ মাসে ৯৪টি আত্মহত্যায় ৬১ জন পুরুষ ৩৩ জন নারী রয়েছেন।
২০২১ সালের গত ৬ মাসে (জানুয়ারি-জুন) ৯৪ জন আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছে। এ সকল আত্মহত্যায় নারীর দ্বিগুণ পুরুষ। তাদের ৬১ জনই পুরুষ এবং ৩৩ জন নারী। তবে কি কারণে এমন ঘটনা ঘটছে, এ নিয়ে উদ্বেগ উৎকণ্ঠায় পুলিশ প্রশাসনসহ সাধারণ মানুষ।
নেত্রকোনা পুলিশ সুপারের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, জেলায় ২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত ৯৪ জনের মধ্যে ফাঁসিতে ঝুলে ৭৩ জন এবং বিষপানে ২০ জন ও গায়ে আগুন ধরিয়ে একজন মারা যায়।
বয়স অনুসারে ১৮ বছরের নিচেই রয়েছে ৩৩ জনের মধ্যে ২১ জন পুরুষ ও ১২ জন নারী। ১৯ থেকে ৩০ বছরের বয়সী ৩৭ জনের মধ্যে ২৪ জন পুরুষ ও ১৩ জন নারী। ৩১ থেকে ৪৫ বছরের বয়সী ১৫ জনের মধ্যে ১০ জন পুরুষ ও পাঁচজন নারী। ৪৫ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে সাতজনের মধ্যে চারজন পুরুষ ও তিনজন নারী। ৬০ বছরের উপরে দুজনই পুরুষ।
নেত্রকোনার পুলিশ সুপার মো. আকবর আলী মুনসী জানান, সংখ্যাগুলো খুবই উদ্বেগের। আমরা প্রতিটি মৃত্যুর তদন্তে দেখলাম যে বৃদ্ধের সংখ্যাও কম নয়। তারা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই একা থাকেন। এছাড়াও শিশু-কিশোরদের বিষয়গুলো অভিভাবকরা পরিষ্কার করেন না। যে কারণে সঠিক কারণ বের করা যাচ্ছে না।
কিন্তু অনুসন্ধানে দেখা গেছে প্রেম সংক্রান্ত, আবার মাদক সংক্রান্তও থাকে। কখনো কখনো পরিবারের সাথে রাগ করে এই পথ বেছে নেয়। তবে অভিভাবকদের আরও সচেতন হতে হবে বলেও জানান তিনি। সময় দিতে হবে তাদের সন্তানদের। সেইসাথে তিনি বলেন, বৃদ্ধদেরকেও সময় দেওয়াটা শিশুদের মতোই জরুরি।
বিডি প্রতিদিন/এমআই