রাজবাড়ীতে একই দিনে চা পান করিয়ে অজ্ঞান করে দুই ইজিবাইক চালককে হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে ৫ যুবককে গ্রেফতার করছে পুলিশ। এসময় ছিনতাই হওয়া দুইটি ইজিবাইক উদ্ধার করা হয়েছে।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- মো. আশিক (১৯), মো. রবিন (২২), নিজাম উদ্দীন (৩০), আকরাম হোসেন (২৬), সাদ্দাম হোসেন (২৬)। দেশের ঢাকা ও পাবনা জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে।
আজ বুধবার দুপুরে রাজবাড়ীর পুলিশ সুপার এম এম শাকিলুজ্জামান গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ সুপার জানান, তারা দেশের বিভিন্ন স্থানে চায়ের সঙ্গে মাত্রারিক্ত ঘুমের ওষুধ খাইয়ে ইজিবাইক চালকদের কাছ থেকে ইজিবাইক ছিনতাই করে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে অতিরিক্ত ওষুধের কারণে তাদের মৃত্যু হয়। হত্যকাণ্ডের সঙ্গে জড়ির অনান্য সদস্যদের গ্রেফতারের স্বার্থে তাদের পরিচয় প্রকাশ করেনি পুলিশ।
জেলা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ২৬ জানুয়ারি গোয়ালন্দ ঘাট থানা ও কালুখালী থানায় এলাকায় অজ্ঞান অবস্থায় দুই যুবকে পাওয়া যায়। পৃথক দুই স্থানে অজ্ঞান অবস্থায় পাওয়া গেলেও তাদের ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক নিয়ে পালিয়ে যায় আসামিরা। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইসমাইল ও সুজন পাঠানের মৃত্যু হয়। মরদেহ দুইটি ময়নাতদন্তের ব্যবস্থা করেন পুলিশ সুপার। সেখান থেকে জানা যায় মাত্রারিক্ত ঘুমের ওষুধ খাইয়ে তাদের হত্যা করা হয়েছে।
নিহতের স্বজনেরা অভিযোগ করে বলেন, আমরা ধারণা করেছিলাম হয়তো স্টোক করে তারা অসুস্থ হয়েছেন। তারপর কেউ তাদের ইজিবাইক ছিনতাই করে নিয়েছে। যে কারণে আমরা মরদেহের পোস্টমর্টেম করতে নিষেধ করছিলাম। পুলিশ জোর করে পোস্টমর্টেমের ব্যবস্থা করেন। এরপর জানতে পারি আমার শ্যাকলকে হত্যা করা হয়েছে। অন্যজনকে একটি ভাবে হত্যা করা হয়েছে। আমাদের ইজিবাইক দুইটি উদ্ধার করেছে পুলিশ।
রাজবাড়ীর পুলিশ সুপার এম এম শাকিলুজ্জামান বলেন, ইসমাইল ও সুজনের মৃত্যু নিয়ে পরিবারের পক্ষ থেকে ময়নাতদন্ত পর্যন্ত করতে চায়নি। দুইটি ঘটনা একই রকম বলে আমি বিষয়টি চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছিলাম। আমার টিম ঘটনাস্থলের মোবাইল টাওয়ারের আওতায় কথোপকথন বিশ্লেষণ করে ক্লু উদ্ধার করে। এরপর সামনে অগ্রসর হতে ভয়ঙ্কর তথ্য বেরিয়ে আসে। হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দুইটি মামলার তদন্ত অব্যাহত রয়েছে। আসামিদের আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত