মাটির ঘর নির্মাণ করে নামমাত্র ছাউনি দিয়ে রোদে পুড়ে বৃষ্টিতে ভিজে রাত কাটাচ্ছেন ভূমিহীন বেশকটি পরিবার। আকাশে মেঘ দেখলেই আতঙ্কে থাকেন তারা। রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলায় চতরা ইউনিয়নে অর্থের অভাবে ঘর তৈরী করতে না পারায় কমপক্ষে ২০টি পরিবার মানবেতর জীবনযাপন করছে।
জানা গেছে, পীরগঞ্জ উপজেলার চতরা ইউনিয়নের শমসের পাড়া থেকে ধর্মদাস পলিপাড়া পর্যন্ত গড়ের উপর হাজারো মানুষের বসবাস। এদের মধ্যে আবার অনেক স্বচ্ছল পরিবার। গড়ের খাস জায়গা দখলে নিয়ে পাকা ঘর নির্মাণ করেছে। তাদের পাশাপাশি কয়েক গ্রাম থেকে এসে ৫০ টিরও বেশি ভূমিহীন পরিবার মাটির ও টিনের তৈরি ঘর তৈরী করে আশ্রয় করে নিয়েছেন। এছাড়া বাড়ি ঘর নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়া ভূমিহীন পরিবারের লোকজন অই গড়ে ঠাঁই করে নিয়েছে। এগুলোর মধ্যে ২০ টির মতো পরিবার দিন এনে দিন খায়। তাদের ঘরের ভিতর থেকে আকাশের দৃশ্য চোখে পড়ে। বৃষ্টি বাদলের সময় বড় অসহায় হয়ে পড়ে এসব পরিবারের লোকজন।
শমসের পাড়া গ্রামের ভূমিহীন আমজাদ আলী ও আজিজার রহমান জানান, তারা গত ৩০ বছর থেকে গড়ের উপরই বসবাস করছেন। মাটির তৈরী দেয়াল বর্ষা এলেই ধ্বসে ভেঙে যায়। মেরামত করতে হচ্ছে বছরের পর বছর। তারা সরকারের দেয়া উপহার মডেল ঘর প্রত্যাশা করেন।
ইউপি চেয়ারম্যান এনামুল হক শাহীন বলেন, প্রতিটি ভূমিহীন পরিবার ঘর বরাদ্দ পাবে। এ বিষয়ে চতরা ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তা নুরে আলম বলেন, তাদের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। ঘর পাবে, তবে সময় লাগবে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল