টাঙ্গাইলের সখীপুরে সহোদর ভাইদের বিরুদ্ধে ওয়াকফকৃত জমির সাড়ে তিনশত কলাগাছ কাটা ও টিনের ঘর ভাঙার অভিযোগ তুলেছে সিরাজুল ইসলাম খান। এ সময় বাধা দিতে গিয়ে তিনি নিজে, দুই ছেলে ও স্ত্রীসহ ছয় জন আহত হয়েছে বলে অভিযোগ। শুক্রবার জুমার নামাজের আগে উপজেলার ইছাদিঘী ডাবাইল পাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় থানায় মামলা দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগী সিরাজুল ইসলাম খান।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, আবাদি জমি ও পুকুরের পাড় ঘেঁষা সাড়ে তিনশত শবরি কলাসহ গাছ কেটে ফেলে রাখা হয়েছে। এছাড়া কিছু আকাশমনি গাছের চাড়াও কাটা হয়েছে। প্রস্তাবিত একটি এতিমখানার টিনের ঘর ভেঙে গুড়িয়ে ফেলে রেখে গেছে। বাধা দিতে গেলে আহত হয় সিরাজুল ইসলাম খান (৬৩), স্ত্রী আনোয়ারা (৫৫), মেয়ে শিমু (১৩) ছেলে আজাহারুল ইসলাম (২৫), আনোয়ার খান (৩২) ও হাবীবুর রহমান (৪৬)। আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে চিকিৎসা করা হয়। এ ঘটনায় সিরাজুল ইসলাম খান বাদী হয়ে সহোদর আলমগীর খান, আমিনুল ইসলাম খান, হায়দার আলী খান, ভাতিজা আবু সাঈদ খান, হান্নান (বাবুল), হারুন অর রশিদ (শাহীন), মান্নান (বুলবুল), নিরব খান, শামসুন্নাহার মেরী, মিলি আক্তারসহ ৪০/৫০ জনের নামে সখীপুর থানায় মামলা দেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
সিরাজুল ইসলাম খান বলেন, আমার নানা ২৮০ শতাংশ জমি এলাকায় মসজিদ, এতিমখানার জন্য ১৯৬৩ সালে ওয়াকফ করে দিয়ে যান সেই জমি আমার ভাই ভাতিজারা মিলে দখল করতে চায়। যে কারণে পরিকল্পিতভাবে তারা প্রায় শতাধিক লোক এসে সাড়ে তিনশত কলাসহ গাছ, আকাশ মনির গাছ কেটে ফেলে, ২০ হাত একটি টিনের ঘর ভেঙে দেয় এবং পুকুরের বাঁধ ভেঙে দিয়ে মাছ ছেড়ে দেয়। এসময় আমি ও আমার পরিবার বাধা দিতে গেলে তাদের হামলায় আহত হই।
এ বিষয়ে অভিযোগ অস্বীকার করে সহোদর আমিনুল ইসলাম খান বলেন, আমাদের জমি সিরাজুল ইসলামের দখলে আছে, সেই জমি নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। এ সময় ওরাই আমাদের উপর আক্রমণ করে। আমি নিজেও আহত হয়ে হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা নিয়েছি।
সখীপুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এ কে সাইদুল হক ভূঁইয়া বলেন, ৯৯৯ এ ফোন পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছিলাম। ওটা তাদের ওয়াকফকৃত জমি। এ নিয়ে তাদের আপন ভাইয়েদের মধ্যে একাধিক মামলা আছে আদালতে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল