বাগেরহাটের রামপালে দাউদখালী নদীর তীব্র ভাঙ্গনের কবলে পড়েছে উপজেলা হাসপাতাল, দুইটি বাজার, একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও একটি আবাসন প্রকল্পের বাসিন্দারা। দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ না করা হলে এসব প্রতিষ্ঠানসহ আবাসন প্রকল্পের বাড়ি-ঘর নদী গর্ভে বিলীন হওয়ার আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
জানা গেছে, বঙ্গবন্ধু মোংলা-ঘোষিয়াখালী ক্যানেল পলি পড়ে ভরাট হয়ে যাওয়ার পর তা খনন করে দুই বছর আগে সচল করা হয়। ওই ক্যানেলের অন্যতম শাখা নদী দাউদখালীও খনন করা হয়। দাউদখালী নদী খননের পরে পানি প্রবাহ বৃদ্ধি পায়। স্থানীয়দের অভিযোগ নদীটি ডিপিপি’র নকশা বহির্ভূত অপরিকল্পিতভাবে খননের ফলে দাউদখালী নদীর ভাঙ্গন তীব্র আকার ধারণ করেছে। ফয়লাহাটের পূর্ব পাশে পারগোবিন্দপুরে আশ্রয়ণ প্রকল্পটির কয়েকটি পাকা ঘরে নদীতে বিলীন হতে চলছে। ফয়লাহাটের বাজারটিও রয়েছে নদী ভাঙ্গন ঝুঁকিতে।
ওই বাজারের পূর্ব পাশের চিংড়ি পোনার আড়তের কয়েকটি ঘর সরিয়ে নেয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে ঝনঝনিয়া বাজারের দোকানঘরসহ বড় একটি অংশ নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। পাশে রামপাল উপজেলা হাসপাতালের জায়গা ইতিমধ্যে নদীতে চলে গেছে। হাসপাতালের সীমানা প্রাচীরটি নদী গর্ভে চলে গেছে। হাসপাতালের দক্ষিণ পাশের সরকারি রাস্তার একটি অংশ নদীতে বিলীন হওয়ায় চলাচলে দুর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে। নদী ভাঙ্গনে হাসপাতাল ভবনের কাছাকাছি চলে এসেছে।
নদী ভাঙ্গনের বিষয়ে রামপাল উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সুকান্ত কুমার পাল জানান, এখনই ব্যবস্থা গ্রহণ না করা হলে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভবনটিও ঝুঁকিতে পড়বে। এ জন্য তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।
রামপাল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. কবীর হোসেন জানান, আমরা ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছি। বাগেরহাট জেলা প্রশাসক ও পানি উন্নয়ন বোর্ডে লিখিত ভাবে দাউদখালী নদী ভাঙ্গনের বিষয়ে জানিয়েছি।
বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর