গাজীপুরের কালিয়াকৈরে একটি বন্ধ স্কুলের ভেতরে দু-গ্রুপের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। শনিবার দুপুরে এ সংঘর্ষের ঘটনায় উভয় পক্ষের চারজন আহত হয়েছে।
আহতরা হলো কালিয়াকৈর উপজেলার বড়ইবাড়ী এলাকার ছানোয়ার খানের ছেলে নয়ন খান, সুমন খানের ছেলে রিফাত খান, পাশের মজুদপাড়া এলাকার ইয়ানুছ খানের ছেলে আকাশ, উপজেলার আষাড়িয়াবাড়ি এলাকার বাবুল মিয়ার ছেলে সিয়াম হোসেন। এদের সবার বয়স ১৬ থেকে ১৮ বছর।
এলাকাবাসী, স্কুল কর্তৃপক্ষ ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, কালিয়াকৈর উপজেলার বড়ইবাড়ী এলাকায় বড়ইবাড়ী এ.কে.ইউ ইনস্টিটিউশন এন্ড কলেজের ভিতরে শনিবার দুপুরে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আষাড়িয়াবাড়ি এলাকার এসএসসি পরিক্ষার্থী নীরব তার বহিরাগত বন্ধু সিয়াম, আদিল, রাকিবসহ কয়েকজন নিয়ে ওই স্কুলের ভিতরে যায়। এ সময় তাদের সাথে ওই স্কুলের শিক্ষার্থী নয়ন, রিফাত, আকাশসহ কয়েকজনের কথা কাটাকাটি এক পর্যায় সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়। পরে ওই বহিরাগতদের কাছে থাকা কাঁচি দিয়ে ওই স্কুলের শিক্ষার্থীদের এলোপাথারী আঘাতের মাধ্যমে রক্তাক্ত জখম করে। খবর পেয়ে স্থানীয় লোকজন স্কুলের ভিতরে গিয়ে বহিরাগত তিনজনকে আটক করে পুলিশে খবর দেয়।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আটককৃত তিনজনকে তাদের পরিবারের জিম্মায় ছেড়ে দেয়। পরে গুরুত্বর আহতদের উদ্ধার করে উপজেলার সফিপুর তানহা কেয়ার হাসপাতাল ও কালিয়াকৈর শুভেচ্ছা ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়।
স্থানীয় লোকজন, আহত ও তাদের পরিবার অভিযোগ, ওই বহিরাগতরা কয়েক স্কুলের ভিতরে ঢুকে এক কোণে বটগাছের নিচে বসে মাদক সেবন করছিল। বিষয়টি টের পেয়ে ওই স্কুলের কয়েকজন শিক্ষার্থী বাধা দেয়। এসময় কথা কাটাকাটির এক পর্যায় বহিরাগতরা তাদের কাছে থাকা কাঁচি দিয়ে এলোপাথারী আঘাতের মাধ্যমে রক্তাক্ত জখম করে।
বহিরাগতদের মধ্যে সিয়াম জানান, আমার এক বন্ধুর প্রবেশপত্র আনতে ওই স্কুলে যাই। এ সময় তারা আমাদের উপর হামলা করে। এর আগে তাদের সাথে একটি কনসার্টে আমাদের ঝামেলা হয়েছিল। এর জেরে ওরা আমাদের ওপর হামলা করে। তবে গাঁজার বিষয়টি সত্য নয়।
ওই স্কুলের সহকারী শিক্ষক হারুন-অর রশিদ জানান, স্কুল বন্ধ থাকাকালীন সময়ে বহিরাগতরা ভিতরে ঢুকে মাদক সেবন করছিল। এতে বাধা দিলে ওই বহিরাগতরা তাদের হাতে থাকা কাঁচি দিয়ে এলোপাথারী আঘাত করলে আমাদের কয়েকজন রক্তাক্ত জখম করে। তারা হাসপাতালে ভর্তি আছে।
কালিয়াকৈর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রায়হান মিয়া জানান, খবর পেয়ে আটককৃতদের তাদের পরিবারের জিম্মায় দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় কেউ এখনো থানায় অভিযোগ দায়ের করেনি।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল