বগুড়ার শেরপুরে পুকুরে ভাসমান অবস্থায় ১৮ মাস বয়সী এক শিশুর লাশ উদ্ধার হয়েছে। ওই শিশুর নাম মো. সানি মিয়া। বৃহস্পতিবার (১৭মার্চ) দুপুরে উপজেলার সুঘাট ইউনিয়নের দড়িহাসড়া গ্রামস্থ নানা বাড়ি সংলগ্ন পুকুর থেকে শিশুটির লাশ উদ্ধার হয়।
পরে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ বগুড়ায় শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহত শিশু সানি মিয়া একই ইউনিয়নের গোয়ালজানি গ্রামের আব্দুল মমিনের ছেলে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বিগত তিন বছর আগে আব্দুল মমিনের সঙ্গে উপজেলার দড়িহাসড়া গ্রামের দুলাল মিয়ার মেয়ে শান্ত্বনা বেগমের বিয়ে হয়। বিয়ের পর দেড় বছরে মধ্যে তাদের সংসারে সানি মিয়া নামের ওই ছেলে সন্তানের জন্ম হয়। কিন্তু বছরখানেক আগে তাদের স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বনিবনা না হওয়ায় উভয়ের মধ্যে ছাড়াছাড়ি হয়। এরপর থেকে শিশু ছেলেকে নিয়ে দড়িহাসড়া গ্রামস্থ বাবার বাড়িতেই থাকতেন শান্ত্বনা বেগম।
এদিকে ঘটনার দিন সকাল পৌনে দশটার দিকে শিশুটিকে বাড়ির মধ্যে খেলতে দিয়ে মা শান্ত্বনা বেগম গোসল খানা পরিষ্কার কাজ করছিলেন। এসময় শিশুটি বাড়ির মধ্যে থেকে উঠানে এসে খেলতে থাকে। একপর্যায়ে পা পিছলে উঠান সংলগ্ন পুকুরে পড়ে পানিতে তলিয়ে যায়। বেশকিছু সময় শিশুটির কোনো সাড়া-শব্দ না পেয়ে তার মা তাকে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। এরইমধ্যে শিশু সানির লাশ পুকুরে ভেসে উঠে। পরে থানায় খবর দেওয়া হলে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশটি উদ্ধার করে বগুড়ার শজিমেক হাসপাতালে পাঠানো হয়।
জানতে চাইলে শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম জানান, শিশুটির মৃত্যুর প্রকৃত কারণ ও ধরন আরও নিশ্চিত হওয়ার জন্য ময়নাতদন্তের জন্য লাশ বগুড়ায় শজিমেক হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন হাতে পাওয়া গেলেই কেবল মৃত্যুর আসল কারণ জানা ও বলা সম্ভব হবে। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ