ফেনী শহরের ফলেশ্বর নামক স্থানে ঘরে ঢুকে এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই ঘটনায় অভিযুক্ত তারেকের বিরুদ্ধে ফেনী মডেল থানায় মঙ্গলবার রাতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেছেন ভুক্তভোগীর ভাই সোহাগ।
অভিযুক্ত তারেক ফেনী পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের মজুমদার বাড়ির মন্টু মিয়ার ছেলে। তিনি ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী ছিলেন।
মামলার বাদী সোহাগ জানান, তার বোনকে বাসায় রেখে তারা দুই ভাই কাজে যান। তার স্ত্রী আত্মীয়ের বাড়িতে ছিলেন। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টার কিছু পর তার স্ত্রী আত্মীয়ের বাড়ি থেকে বাসায় এসে ঘরের দরজা বন্ধ দেখতে পান। দরজা খুলে কক্ষে প্রবেশ করে তারেককে তার ননদের সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় দেখতে পেয়ে তারেককে আটকানোর চেষ্টা করেন। এ সময় তারেক তাকে ধাক্কা দিয়ে ঘর থেকে বের হয়ে যায়।
ভুক্তভোগী ছাত্রী জানান, তাকে জোর করে ধর্ষণ করেছে তারেক।
ফেনী মডেল থানার পুরিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুর রহিম সরকার জানান, তারেকের নামে থানায় মামলা হয়েছে। পুলিশ তাকে গ্রেফতারে অভিযান চালাচ্ছে। ভুক্তভোগীর মেডিকেল টেস্ট, ডিএনএ টেস্ট এবং জবানবন্দীসহ অন্যান্য কাজ চলছে।
এ বিষয়ে পৌর যুবলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম ভূঞা বলেন, তারেক যুবলীগের কোনো কমিটির সদস্য নয়। তবে ওয়ার্ড সাধারণ সম্পাদক পদের জন্য সিভি জমা দিয়েছে। কেউ কোনো অপরাধ করলে তার দায়িত্ব যুবলীগ নেবে না। তিনি যেহেতু কোনো পদ-পদবিতে নেই সুতরাং তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক কোনো ব্যবস্থা নেওয়ারও সুযোগ নেই। আইনে তার যে বিচার হবে সেটাই হওয়া উচিত।
বিডিপ্রতিদিন/কবিরুল