চট্টগ্রামের হালিশহরের শান্তিবাগ এলাকায় পুলিশের এসআই মো. মিজানুর রহমান জাবেদের বিরুদ্ধে স্ত্রী ফাতেমা আক্তার কলিকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনার প্রতিবাদ এবং ঘাতক খুনির শাস্তি ও গ্রেফতারের দাবিতে নোয়াখালী প্রেসক্লাবের সামনে ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন ও ডিসি ও এসপি অফিসের সামনে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে নিহতের স্বজন, স্কুল শিক্ষার্থী ও বিক্ষুদ্ধ এলাকাবাসী।
এদিকে ঘটনার এক সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও আসামি গ্রেফতার না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন স্বজন ও বিক্ষুদ্ধ এলাকাবাসী।
বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত দফায় দফায় এসব কর্মসূচি করা হয়। এতে নিহতের পরিবারের সদস্যরা ছাড়াও স্থানীয় লোকজন ও স্কুল শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন। এর আগে শনিবার রাত ১১টায় চট্রগ্রাম থেকে লাশ গ্রামের বাড়ি নোয়াখালী সদরের কাদির হানিফে আসে।
মানববন্ধন-বিক্ষোভ থেকে নিহতের স্বজন ও এলাকাবাসী জানান, পুলিশ সদস্য জাবেদ ও নিহত কলি দু’জনই নোয়াখালীর বাসিন্দা। জাবেদ সদর উপজেলার বিনোদপুরের বাসিন্দা এবং কলি কাদির হানিফের বাসিন্দা। ২০১৪ সালে পারিবারিকভাবে তাদের বিয়ে হয়। তাদের পরিবারে এক ছেলে ও এক মেয়ে সন্তানও রয়েছে। পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, বিয়ের দুই, আড়াই বছর পর থেকে জাবেদ অন্য কারো সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে। এরপর থেকে কলিকে প্রায় সময় মারধর করতো। এ নিয়ে একাধিকবার পারিবারিক বৈঠকও হয়েছে। স্বামীর পরকীয়া ও ইয়াবাসহ অবৈধ উপার্জনের বিষয়ে স্ত্রী নিষেধ করলে একপর্যায়ে স্ত্রীকে বিভিন্ন সময় শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে। এরে জের ধরে গত শুক্রবার দুপুরে চট্রগ্রাম হালিশহরের ভাড়া বাসায় সে ও তার বন্ধু বাদশা মিলে স্ত্রীকে মানসিক ও শারীরিকভাবে নির্যাতন করে হত্যা করে। পরে আত্মহত্যা ও সড়ক দুর্ঘটনা বলে প্রচার করে এবং নিহতের স্বজনদের কাছে খবর পাঠায়। এ বিষয়ে স্থানীয় হালিশহর থানায় একটি হত্যা মামলা দিয়েছে কলির বাবা আহছান উল্যাহ।
মানবন্ধনে স্বজনরা কলি হত্যার বিচার দাবিতে নানা স্লোগান দেন। এ সময় তারা এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে জাবেদকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
বিডি প্রতিদিন/কালাম