বরিশাল মুলাদী উপজেলায় এক ইউপি সদস্যের বাড়ি থেকে জেলেদের জন্য বরাদ্দকৃত ২০ বস্তা চাল উদ্ধার করেছে পুলিশ। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ওই উপজেলার চরকালেখা ইউনিয়ন পরিষদের ৬নম্বর ওয়ার্ড সদস্য মো. রাশেদ বেপারীর বসত ঘর থেকে ওই চাল উদ্ধার করা হয়।
সরকারি প্রণোদনার চাল জেলেদের না দিয়ে আত্মসাতের জন্য ইউপি সদস্য তার বাড়িতে রেখে মজুদ রেখেছিলেন বলে অভিযোগ করেছেন উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা।
অভিযুক্ত ইউপি সদস্য রাশেদ চরকালেখান ইউনিয়নর কায়েতমারা গ্রামের মৃত আ. রশিদ বেপারীর ছেলে।
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সুব্রত গোস্বামী জানান, উপজেলার চরকালেখান ইউনিয়ন পরিষদে গত দুই দিন ধরে জেলেদের মাঝে চাল বিতরণ করা হয়। তালিকাভুক্ত অনেক জেলে চাল না পেলেও ইউনিয়ন পরিষদের গোডাউনের মজুদ চাল শেষ হয়ে যায়। এছাড়া কয়েকজন জেলে রাশেদ বেপারীর বাড়িতে সরকারি চাল নিতে দেখে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ও থানা পুলিশে সংবাদ দেয়। পরে ইউপি সদস্যের বাড়ির ঘরের পিছনের বারান্দা থেকে মুখ বন্ধ ১৩ বস্তা চাল এবং মুখ খোলা ৮ বস্তা চাল উদ্ধার করা হয়। বরাদ্দের চাল তালিকাভুক্ত জেলেদের মাঝে বিতরণ না করে ইউপি সদস্যের বাড়িতে লুকিয়ে রাখা হয়েছিলো। পরে জব্দকৃত চাল সংশ্লিষ্ট ট্যাগ অফিসারকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়।
এ ঘটনায় মামলা দায়ের সহ আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলেন উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা।
ইউপি সদস্য মো. রাশেদ বেপারীর দাবি, কার্ডধারী জেলেদের মাঝে বিতরণের জন্য ওই চাল তার ঘরে নিয়ে রেখেছিলেন।
মুলাদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নূর মোহাম্মদ হোসাইনী বলেন, বিষয়টি তিনি শুনেছেন। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা এবং থানার ওসি’ কে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
মুলাদী থানার ওসি এস এম মাকসুদুর রহমান বলেন, মৎস্য অফিসের লিখিত অভিযোগ তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন