কিশোরগঞ্জে প্রায় আড়াই মাস আগে নিখোঁজ অটোচালক মুরাদুল হকের (২৫) গলিত লাশ পাওয়া গেছে স্থানীয় নরসুন্দা নদীতে।
শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সদর উপজেলার মারিয়া ইউনিয়নের প্যারাভাঙ্গা এলাকায় নরসুন্দা নদী থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
মুরাদুল হক প্যারাভাঙ্গা গ্রামের মফিজুল হকের ছেলে।
মুরাদের বড় ভাই কামরুল হাসান জানান, গত ১৯ জানুয়ারি সন্ধ্যার দিকে তার ভাই বাজার করতে বাড়ি থেকে বের হন। পরে আর বাড়িতে ফেরেননি। আত্মীয়-স্বজনের বাড়িসহ বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ করেও তাকে পাওয়া যায়নি। পরে ২২ জানুয়ারি বাবা থানায় গিয়ে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।
শুক্রবার সকালে নদীতে মাছ ধরতে যান তাদের এক প্রতিবেশী। এ সময় কচুরিপানা সরাতে গিয়ে নাকে গন্ধ লাগে তার। পরে ওই প্রতিবেশীর ডাক চিৎকারে ছুটে আসেন তারা। এসে কচুরিপানার নিচ থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। এ সময় মুরাদের মুখ গামছা দিয়ে বাধা দেখতে পান তারা।
মারিয়া ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. জসীম উদ্দিন জানান, নিহত মুরাদ ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন। মফিজুল হকের তিন ছেলের মধ্যে মুরাদ মেজো। তিনি আরও জানান, লাশ উদ্ধারের পর মুরাদের পরিবারের লোকজন এসে শনাক্ত করেছে।
কিশোরগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ দাউদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, লাশটি বেশ কিছুদিন আগের। পঁচে যাওয়ায় প্রাথমিকভাবে কোনও কিছু ধারণা করা যাচ্ছে না। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বিডি প্রতিদিন/কালাম