বগুড়া শাজাহানপুর উপজেলায় মালয়েশিয়া প্রবাসী স্বামীর প্রায় দেড়কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগে স্ত্রীর বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মঙ্গলবার বগুড়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও শাজাহানপুর আমলি আদালতে প্রতারণা এবং দেড় কোটি টাকার অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে ৮ জনের নামে মামলাটি করেন ভুক্তভোগী স্বামী। আগামী ১৮ মের মধ্যে বগুড়া পিবিআইকে মামলাটি তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, শাজাহানপুর উপজেলার শৈলধুকড়ী গ্রামের মৃত হবিবর রহমানের ছেলে মাহফুজার রহমান ৪ বছর প্রেম করে বাড়ি থেকে পালিয়ে বিয়ে করেন রজনী খাতুনকে। পরে ৪ বছর সংসার করার পর ২০০৮ সালের আগস্টে মালয়েশিয়া যান মাহফুজার। এর ৬ মাস পর রজনী খাতুন গ্রামে স্বামীর বাড়ি থেকে উপজেলার আড়িয়া ইউনিয়নের জামালপুর এলাকায় বড় ভাইয়ের বাড়িতে থাকতে শুরু করেন। পরে রহিমাবাদ সি ব্লক এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতে শুরু করেন। এদিকে প্রবাসী স্বামী মাহফুজারের পাঠানো টাকায় রজনী নিজের নামে জমি কিনতে থাকেন। জামালপুর এলাকায় নিজ নামে জমি কিনে ৪২ লাখ টাকা ব্যয়ে ৬ তলা বাড়ির ভিত দেন।
একতলা বাড়ির কাজ সম্পন্ন করেন। বাড়ি নির্মাণে আরও টাকা দরকার জানিয়ে পৈতৃক সূত্রে পাওয়া মাহফুজারের সাত বিঘা জমি প্রায় ৭ লাখ টাকায় ইজারা দেন। এভাবে সাড়ে ১৩ বছরের প্রবাস জীবনে রজনীকে নগদ টাকা, স্বর্ণালংকারসহ প্রায় দেড় কোটি টাকা দেন মাহফুজার। গত ২০ জানুয়ারি দেশে ফিরে নিজের টাকায় নির্মিত বাড়িতে উঠতে গিয়ে জানতে পারেন স্ত্রী রজনী তাকে তালাক দিয়েছেন। গত ২৫ মার্চ রজনী মামাতো ভাই রেজাউল করিমকে বিয়ে করে সেই বাড়িতে বসবাস করছেন। এ বিষয়ে রজনী খাতুন বলেন, তিনি আবার বিয়ে করেছেন। এরপর আর কিছু জানাতে চাননি।
মাহফুজার রহমান বলেন, প্রায় ১৩ বছর মালয়েশিয়া থাকা অবস্থায় কোনো টাকাই নিজের জন্য রাখেননি। নিজের শরীরের ওপর সর্বোচ্চ কষ্ট দিয়ে যা ইনকাম করেছেন তার সবই স্ত্রীর নামে পাঠিয়েছেন। এখন আর কিছুই নাই। সে কারণে মামলা দায়ের করেছেন। তিনি আরো জানান, তার সাবেক স্ত্রী রজনী খাতুন (৩৩), রজনীর বর্তমান স্বামী মো. রেজাউল করিম (৩২) এবং রেজাউলের বাবা আব্দুল খালেক (৫৫)। এছাড়া আব্দুর রাজ্জাক (৩৮), মোছা চাঁন মুনী (৪৫), বিউটি বেগম (৩৮) এবং মোছা. শান্তি বেগমসহ (৩৫) ৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
বিডি প্রতিদিন/এএ