ফরিদপুরের মধুখালীতে পিয়াজের বাম্পার ফলনে খুশি চাষিরা। দেশে সাধারণত ৩ ধরনের পিয়াজ চাষ হয়ে থাকে। হালি, মুড়িকাটা ও দানা পিয়াজ। সারা দেশের মধ্যে ফরিদপুর জেলা পিয়াজ চাষে সেরা। ফরিদপুরের ৯টি উপজেলার মধ্যে মধুখালী উপজেলা হচ্ছে দ্বিতীয় অবস্থানে। এ বছর প্রচুর পিয়াজ উৎপাদন হয়েছে মধুখালী উপজেলাতে।
উপজেলার ১টি পৌরসভাসহ ১১টি ইউনিয়নে কম বেশী পিয়াজের চাষ হয়ে থাকে। উপজেলার রায়পুর, কোরকদি, জাহাপুর, কামালদিয়া, মেগচামী, আড়পাড়া ও ডুমাইন ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে প্রচুর পিয়াজ চাষের উর্বর জমি রয়েছে যে কারণে চাষও হয় বেশী। এ বছর মধুখালী উপজেলাতে পিয়াজের বাম্পার ফলন হয়েছে। পিয়াজের মৌসুম হওয়ায় বাজারে মূল্য কম। চাষি পিয়াজের বাম্পার ফলনে খুশি হলেও কম দামে বিক্রয়ের জন্য লোকসানে মাতায় হাত।
এ বছর পরপর ৩ দফায় পিয়াজ রোপণ মৌসুমে বৃষ্টি হওয়ায় ক্ষতির মুখে পড়ে পিয়াজ চাষি। সর্বোপরি পিয়াজ বীজ রোপণে চাষি সক্ষম হলেও দামের বেলা লোকসান। পিয়াজ বীজ রোপণ আবাদ ও ঘর পর্যন্ত আসতে প্রতি মণ পিয়াজে খরচ হয়েছে ১১/১২শত টাকা। বিক্রয় হচ্ছে প্রতিমণ ৭/৮শত টাকা। লোকসানের মুখে ৪/৫শত টাকা মণপ্রতি। পিয়াজের বাম্পার ফলনে খুশি হলেও লোকসানে মাথায় হাত পিয়াজ চাষির।
উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের ব্যাসদী গ্রামের পিয়াজ চাষি রাসেল আহম্মেদ জানান, নিজ এক একর ১০ শতাংশ জমিতে পিয়াজ চাষ করেছি। আশা করছি ২০০ মণের বেশী উৎপাদন হবে। বীজ ও কৃষি শ্রমিক বাবদ প্রায় ৯০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। বিক্রয় হবে ১ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা। আমিতো লাভের আশা করছি। নিয়ম মেনে চাষ করলে ফসল ভাল হবে এবং লাভও হবে।
পিয়াজ চাষের অবস্থা জানতে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আলভীর রহমানের কাজে জানতে চাইলে তিনি জানান, মুড়িকাটা প্রায় ২৪০ হেক্টর, দানা ১৬০ হেক্টর এবং হালি ২ হাজার ৮৩০ হেক্টর জমিতে আবাদ হয়েছে। এ বছর উপজেলায় প্রায় ৪৪ হাজার ৪৭৯ মেট্রিক টন পিয়াজ উৎপাদন হবে আশা করি। চাষী ভাইদের জন্য একটাই ট্রিপস নিজস্ব উদ্যোগে সংরক্ষণ ও আড়তে যোগাযোগ করে নিজেরা দলবদ্ধ হয়ে পিয়াজ বিক্রয় করলে সঠিক দাম ও লাভবান হবেন।
বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর