বরগুনা শহরের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিম বরগুনায় ভাড়া বাসা থেকে জহিরুল ইসলাম (২৮) নামে এক যুবকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার বিছানার চাদর দিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে জহিরুল আত্মহত্যা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
জহিরুল ইসলামের বাড়ি বরিশালের আগরপুরে। তার বাবা আবদুল লতিফ সিকদার একজন পুলিশ সদস্য ছিলেন। বাবার চাকরির সুবাধে বরগুনায় বসবাস করছিলেন তারা। জহিরুল বরগুনা সরকারি কলেজ থেকেই মাস্টার্স পাশ করেন। সরকারি চাকরি না পেয়ে শুক্রবার বরগুনায় মুদি ব্যবসার উদ্বোধন করেন। ব্যবসা শুরুর ২৪ ঘণ্টা না যেতেই পাওয়া গেলো তার মরদেহ।
স্থানীয়রা জানান, জহিরুলের সঙ্গে আবদুর রব লিচু মাস্টারের ছেলে মিথাসের বন্ধুত্ব ছিল। তারা একত্রে পড়াশোনা করতো। যে কারণে মিথাসের বাসায় ভাড়া থাকতো জহিরুল।
আরেকটি সূত্রে জানা গেছে, জহিরুলের সঙ্গে তার মামাতো বোনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তাদের দাবি, শুক্রবার মামাতো বোনের সঙ্গে ঝগড়া করে বিছানার চাদর দিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে জহিরুল আত্মহত্যা করেছে। তবে জহিরুলের পা মাটিতে লাগানো ছিল। তাতে তার মৃত্যু নিয়ে রহস্য দেখা দিয়েছে।
বরগুনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলী আহম্মেদ জানান, ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে থানায় একটি ইউডি মামলা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এমআই