পাবনা সদর উপজেলার মালঞ্চি ইউনিয়নের নলমুড়া গ্রামের স্কুল শিক্ষক মরহুম আব্দুল করিম মাস্টারের বিধবা স্ত্রী হাসিনা খাতুনের একমাত্র সম্বল বসতবাড়ি দখলের উদ্দেশ্যে ভাংচুর ও লুটতরাজ করেছে স্থানীয় প্রভাবশালী একটি চক্র। এ ঘটনায় থানায় মামলা হলেও পুলিশ আসামী ধরতে পারেনি।
ক্ষতিগ্রস্ত হাসিনা খাতুন ও স্থানীয়রা জানান, গত রবিবার স্থানীয় প্রভাবশালী মজনু প্রামানিক ও তার ছেলে সোহেল প্রামানিক সন্ত্রাসী বাহিনী এনে ব্যাপক ভাংচুর ও লুটপাট চালায়। এ সময় তারা প্রায় ২ লক্ষ টাকার স্বর্ণালংকার এবং প্রায় ৫ লক্ষ টাকার ক্ষতিসাধন ও লুট করে নিয়ে যায়। এ ঘটনার পর থেকে বিধবা হাসিনা খাতুন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। ভাংচুর করা বাড়িঘর মেরামত করতে পারছেন না প্রভাবশালীদের নানা হুমকি ধামকির কারনে।
জানা যায়, স্কুল শিক্ষক মরহুম আব্দুল করিম স্ত্রী হাসিনা খাতুনকে বিয়ে করার পর দ্বিতীয় বিয়ে করেন আরেকজন নারীকে। প্রথম স্ত্রীকে সামনে ও দ্বিতীয় স্ত্রীকে পেছনে বসত বাড়ির জায়গা ভাগ করে দিয়ে যান। মৃত্যুর আগে তিনি দ্বিতীয় স্ত্রীকে তালাকও দেন। তার মৃত্যুর পর দ্বিতীয় স্ত্রী ওই সম্পত্তি মজনু প্রামানিকের নিকট বিক্রি করে দেন। বাড়ির জায়গা কেনার পর থেকেই বিধবা হাসিনাকে ওই জায়গা থেকে উচ্ছেদের জন্য নানা ভাবে চাপ সৃষ্টি করতে থাকেন মজনু প্রামানিক ও তার লোকজন। ঘটনার দিন লোকজনসহ এসে তারা হাসিনার বাড়ি ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেয়। বর্তমানে সে নিরাপত্তাহীনতা আর মানবেতন জীবন যাপন করছেন।
পাবনা সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জসিম উদ্দিন বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ ঘটনায় মজনু প্রামানিক, সোহেল প্রামানিক, আরিফ প্রামানিক, রুবেল, সাগর, ইমান নেতা, সুজনকে নামীয়সহ আরও ৫/৭ জন অজ্ঞাতকে আসামী করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে আসামীরা পলাতক থাকায় তাদের ধরতে পুলিশী অভিযান চলছে।
বিডি প্রতিদিন/এএ