নাটোর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও নাটোর চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি আমিনুল হকের (৬৯) জানাজার নামাজ ও দাফন সোমবার বিকেলে সম্পন্ন হয়েছে। জেলার প্রতিটি ইউনিয়ন থেকে হাজার হাজার নেতাকর্মী তার জানাজায় অংশ নেয়।
জেলা শহরের নবাব সিরাজ-উদ-দৌলা সরকারি কলেজ মাঠে জানাজা পূর্ব সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য মিজানুর রহমান মিনু, রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল, রাজশাহী মহানগর বিএনপির সভাপতি শফিকুল ইসলাম মিলন, নাটোর সদরের এমপি আওয়ামী লীগ নেতা শফিকুল ইসলাম শিমুল, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম রমজান, বিএনপি দলীয় সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক কাজী গোলাম মোর্শেদ ও মোজাম্মেল হক।
আরও বক্তব্য রাখেন রাজশাহী জেলা বিএনপির সভাপতি আবু সাঈদ চাঁদ, নাটোর জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাচ্চু, সদস্য সচিব রহিম নেওয়াজ ও ঢাকা থেকে ভার্চুয়ালি বক্তব্য রাখেন বিএনপির সাংগঠনকি সম্পাদক অ্যাডভোকেট এম রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু।
জানাজায় ইমামতি করেন মাওলানা শিহাব উদ্দিন। জানাজার নামাজ শেষে তার লাশ শহরের গাড়িখানা কবরস্থানে দাফন করা হয়। আমিনুল হকের মৃত্যুতে রবিবার রাতেই শোক বাণী প্রদান করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট এম রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু।
এর আগে রবিবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে আকস্মিকভাবে আমিনুল হক মারা যান। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী সাবেক এমপি সুফিয়া হক, এক ছেলে ও এক মেয়ে রেখে গেছেন। তিনি আলাইপুর মহল্লার জালাল উদ্দিন আহম্মেদের ছেলে। আমিনুল হক কর্মজীবনে নাটোর থেকে প্রকাশিত দৈনিক জনদেশ পত্রিকার প্রকাশক, নাটোরের পশ্চিম আলাইপুর ও উপশহর জামে মসজিদের সভাপতি ও হক ফ্লাওয়ার মিলের মালিক ছিলেন। তিনি নাটোর রোটারী ক্লাবের সাবেক সভাপতি ছিলেন।
বিডি প্রতিদিন/এমআই