চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার বাঙ্গাবাড়ি ইউনুস স্মরণী স্কুল ও কলেজ মাঠে দীর্ঘদিন ধরে পশুর হাট বসায় বিদ্যালয়ের নিয়মিত কার্যক্রম প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। এদিকে দীর্ঘদিন শিক্ষার্থীদের কুচকাওয়াজ ও জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া হয় না বলে অভিযোগ উঠেছে।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, বাঙ্গাবাড়ি স্কুল ও কলেজের অধ্যক্ষ মোস্তফা কামাল তার নিকট আত্মীয় তাইস উদ্দিনকে প্রতিষ্ঠানের মাঠে পশুর হাট বসানোর মৌখিক অনুমতি দিয়ে রেখেছেন। পরিপ্রেক্ষিতে সপ্তাহের প্রতি সোমবার ও বুধবার বিদ্যালয় মাঠে সকাল ৯টা থেকে ১২টা পর্যন্ত গরু-ছাগলের হাট বসে। এতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষা কার্যক্রম চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে।
এমনিতেই বর্ষার সময় প্রতিষ্ঠানের মাঠ পানিতে ডুবে থাকে। তার ওপর সপ্তাহে দুই দিন হাট বসিয়ে প্রতিষ্ঠানের পরিবেশ নষ্ট করা হচ্ছে। এ নিয়ে প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থী এবং এলাকাবাসীর মনে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। এ প্রসঙ্গে এই প্রতিষ্ঠানের অফিস সহকারী ও পশু হাটের তথাকথিত ইজারাদার তাইস উদ্দিন বলেন, প্রতি বছর ৮ হাজার টাকা হিসেবে ২০১৫ সাল থেকে অদ্যাবধি প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষের নিকট হতে পশুর হাট ইজারা নিয়ে হাট পরিচালনা করে আসছেন। হাট বসানোর ফলে শিক্ষা কার্যক্রম কিছুটা হলেও ব্যাহত হচ্ছে বলে স্বীকার করেন তিনি।
অন্যদিকে প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ মোস্তফা কামাল জানান, প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাইস উদ্দিনকে প্রতি বছর ৫ হাজার টাকার চুক্তিতে হাট বসানোর অনুমতি দেয়া আছে এবং ইজারার টাকা নিয়মিত ব্যাংকে জমা দেয়। হাট বসানোর কারণে শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে বলে তিনিও স্বীকার করেন। তিনি আরও বলেন, তিনি ব্যবস্থাপনা কমিটিকে সাথে নিয়ে হাট বন্ধ করার চেষ্টা করে যাচ্ছেন। কিন্তু ইজারাদারের কারণে এটা সম্ভব হচ্ছে না।
এ ব্যাপারে উপজেলা চেয়ারম্যান হুমায়ূন রেজার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, স্কুল ও কলেজ মাঠে হাট বসানোটি বিষয়টি বে-আইনি। উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমে হাটের ইজারাদারকে ডেকে পাঠানো হয়েছে। তিনি এলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর