ময়মনসিংহের ফুলপুর উপজেলার বওলা ইউনিয়নের বওলা পূর্বপাড়া গ্রামে একটি কবরস্থান থেকে গত ১০ সেপ্টেম্বর বেলা ১১টার দিকে উদ্ধার হওয়া বস্তাবন্দী লাশ খুলনার রহিমা বেগমের (৫২) বলে দাবি করেছেন নিহতের ছোট মেয়ে মরিয়ম মান্নান।
আজ শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে ফুলপুর থানায় এসে লাশের সাথে উদ্ধারকৃত কাপড় চোপড় দেখে তিনি এ দাবি করেন।
মরিয়ম মান্নান বলেন, এটাই আমার মায়ের লাশ। পায়জামাটা আমার মায়ের। তবে জামাটা তাদের বাসার ভাড়াটে মহিলার বলে জানান তিনি।
জানা যায়, গত ২৭ আগস্ট রাত সাড়ে ১০টার দিকে পানি আনতে বাসা থেকে নিচে নামেন রহিমা বেগম। এরপর তিনি আর বাসায় ফেরেননি। খুলনার দৌলতপুরের বণিকপাড়া থেকে নিখোঁজ হন রহিমা বেগম। মায়ের লাশ শনাক্তের সময় তার বোন মনি, মাহফুজা আক্তার, আদরী আক্তার, ভাবী, চাচাতো ভাই রুম্মান হোসেন ও মরিয়মের অল্প বয়সী একজন ভাইপো থানায় উপস্থিত ছিলেন।
এ ব্যাপারে ওসি আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, এটাই যে মরিয়মের মায়ের লাশ তা এখনই নিশ্চিত করে বলা যাবে না। ডিএনএ টেস্টের পর পুরোপুরি নিশ্চিত হওয়া যাবে।
জানা যায়, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে নিখোঁজ গৃহবধূর মেয়ে মরিয়ম ফেসবুক আইডিতে দেয়া পোস্টে লেখেন- ‘আমার মায়ের লাশ পেয়েছি আমি এই মাত্র।’ রাত ১২টা ৪ মিনিটে আরেকটি পোস্টে তিনি লেখেন- ‘আর কারও কাছে আমি যাবো না। কাউকে বলব না আমার মা কোথায়! কাউকে বলবো না আমাকে সহযোগিতা করুন। কাউকে বলবো না আমার মাকে একটু খুঁজে দেবেন। কাউকে আর বিরক্ত করবো না। আমি আমার মাকে পেয়ে গেছি।’ তার এই স্টাটাসের পর পিবিআই, স্থানীয় থানা পুলিশ, সংবাদকর্মীরা সক্রিয় হয়।
বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর