উলিপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনকে ঘিরে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। আর এক কর্মীসভায় নিজ দলীয় কর্মীর ছুঁড়ে দেয়া চেয়ারের আঘাতে উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও উলিপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান গোলাম হোসেন মন্টু গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। তিনি এখন কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসকদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে রয়েছেন বলে জানা গেছে।
সম্মেলন সূত্রে জানা যায়, উপজেলা আওয়ামী লীগের আসন্ন ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন উপলক্ষে আগামী ১৪ অক্টোবর উপজেলা আওয়ামীলীগের বর্ধিত সভা আহ্বান করা হয়েছে। শনিবার সন্ধ্যায় উপজেলা অডিটোরিয়াম হলে দলের সভাপতি ও সম্পাদক মন্ডলীর সদস্যদের নিয়ে বর্ধিত সভা সফল করতে এক প্রস্তুতিমূলক সভার আয়োজন করা হয়। সভা চলাকালীন সময়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আজাহার আলী রাজা গোলাম হোসেন মন্টুকে লক্ষ্য করে চেয়ার ছুড়ে মারেন। এসময় ওই চেয়ার মন্টুর বুকে লাগলে তিনি মাটিতে পড়ে যান। পরে উপস্থিত নেতাকর্মীরা আহত গোলাম হোসেন মন্টুকে জরুরী ভিত্তিতে কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। এখন পর্যন্ত তিনি কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এ ব্যাপারে পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উলিপুর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আবু সাঈদ বলেন, ‘রাজনীতিতে প্রতিযোগিতা ও গ্রুপিং থাকবে, কিন্তু পেশি শক্তির ব্যবহার নিন্দনীয়। আমরা এরুপ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।’
অপরদিকে, আজহার আলী রাজা জানান, ‘দীর্ঘদিন উলিপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি না থাকায় একক কর্তৃত্বে দল পরিচালনা করে আসছেন গোলাম হোসেন মন্টু। সেই সুযোগে ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন কমিটিতে বিএনপি-জামায়াত ও হাইব্রিডদের নিয়ে কমিটি গঠন করা হয়। জেলা সভাপতি মো. জাফর আলী ও সাধারণ সম্পাদক আমান উদ্দিন আহম্মেদ মঞ্জু কাউন্সিলের আগে ইউনিয়ন ও পৌরসভার ত্রুটিপূর্ণ কমিটিগুলো পুণর্গঠন করার নির্দেশ দেন। কিন্তু সাধারণ সম্পাদক গোলাম হোসেন মন্টু চুপিসারে কাউন্সিলের তারিখ এনে পকেট কমিটি দিয়ে নিজে সাধারণ সম্পাদক হওয়ার পরিকল্পনা করেছেন। সভায় এ বিষয়ে তাকে বলতে গেলে তিনি ক্ষিপ্ত হন। পরে উভয়ের মধ্যে কথা বলা শুরু করলে চেয়ার ছুঁড়ে দেয়াসহ হতাহতের ঘটনা ঘটে।
বিডি প্রতিদিন/হিমেল