নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলায় চারমাস আটকে রেখে এক রোহিঙ্গা কিশোরীকে (১৪) ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগীর দাবি এ ঘটনায় সুবর্ণচর উপজেলার শাহাদাত নামে এক যুবক জড়িত। হাতিয়ার ভাসানচর রোহিঙ্গা আশ্রয়ণ কেন্দ্র থেকে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে এনে উপজেলার ৮নং মোহাম্মদপুর ইউনিয়নে ভিকটিমকে আটকে রাখা হয়।
গতকাল বুধবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যের সহায়তায় ভুক্তভোগী কিশোরীকে উদ্ধার করে চরজব্বর থানা পুলিশরে কাছে সোপর্দ করা হয়েছে। মোহাম্মদপুর ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য (মেম্বার) মো. নুর আলাম ও ভুক্তভোগী কিশোরী জানান, দালালের মাধ্যমে গত চারমাস আগে ওই কিশোরীকে ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে বিয়ে করার প্রলোভনে ৩০ হাজার টাকার বিনিময়ে সুবর্ণচরে নিয়ে আসেন মোহাম্মদ শাহাদাত (২৮) নামে এক যুবক। পরবর্তীতে উপজেলার খাসেরহাট রাস্তার মাথা এলাকার একটি বাড়িতে স্ত্রী পরিচয়ে আটকে রেখে শাহাদাত ওই কিশোরী ধর্ষণ করে আসছে। এ সময় শাহাদাতের অপর সহযোগী কচি ওই রোহিঙ্গা কিশোরীকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। স্থানীয় লোকজন বিষয়টি টের পেলে দালালরা কিশোরীকে একা ফেলে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন ইউপি চেয়ারম্যানের মাধ্যমে রোহিঙ্গা কিশোরীকে উদ্ধার করে থানায় সোপর্দ করে। অভিযুক্ত মোহাম্মদ শাহাদাত উপজেলার চরআলাউদ্দিন গ্রামের মৃত আসাদুল হকের ছেলে এবং অপর আসামি কচি (২৭) একই এলাকার রুহুল আমিনের ছেলে।
ভুক্তভোগী কিশোরীর অভিযোগ, শাহাদাত এখনো তাকে বিয়ে করেনি। সে শাহাদাতকে বিয়ে করতে চায়। শাহাদাতের সহযোগী কচি তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করেছে। চরজব্বর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেব প্রিয় দাশ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ভুক্তভোগী কিশোরীর অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/শফিক