বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বারি) এর সেচ ও পানি ব্যবস্থাপনা বিভাগের উদ্যোগে ‘ভূ-গর্ভস্থ পানির সংরক্ষণ এবং বাংলাদেশের সেচ নির্ভর কৃষি ব্যবস্থার দক্ষতা ও উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধিকরণ’ সমীক্ষা প্রকল্পের প্রাথমিক জরিপ ফলাফল প্রকাশ কর্মশালা সোমবার ইনস্টিটিউটের এফএমপিই বিভাগের সেমিনার কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়েছে। কৃষি মন্ত্রণালয়ের ‘ভূ-গর্ভস্থ পানির সংরক্ষণ প্রকল্প’ এর অর্থায়নে আয়োজিত এ কর্মশালায় বারি’র বিভিন্ন বিভাগ/কেন্দ্রের বিজ্ঞানী, বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ও বরেন্দ্র উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের প্রতিনিধিগণ অংশগ্রহণ করেন।
সকালে বারি’র মহাপরিচালক ড. দেবাশীষ সরকার প্রধান অতিথি হিসেবে কর্মশালার উদ্বোধন করেন। বারি’র পরিচালক (সেবা ও সরবরাহ) ড. মো. কামরুল হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিচালক (প্রশিক্ষণ ও যোগাযোগ) ড. ফেরদৌসী ইসলাম, পরিচালক (কন্দাল ফসল গবেষণা কেন্দ্র) ড. সোহেলা আক্তার, পরিচালক (উদ্যানতত্ত গবেষণা কেন্দ্র) ড. গোবিন্দ চন্দ্র বিশ্বাস। কর্মশালায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন সেচ ও পানি ব্যবস্থাপনা বিভাগের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও বিভাগীয় প্রধান ড. মো. আনোয়ার হোসেন এবং প্রকল্পের প্রাথমিক জরিপ ফলাফল উপস্থাপন করেন সেচ ও পানি ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা এবং প্রকল্পের প্রকল্প সমন্বয়কারী পরিচালক ড. সুজিৎ কুমার বিশ্বাস।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বারি’র মহাপরিচালক ড. দেবাশীষ সরকার বলেন, আমাদের কৃষিতে ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য অধিক পরিমাণে পানি সেচের প্রয়োজন হচ্ছে। পাশাপাশি আমাদের কৃষকদের মধ্যে কোন ফসলের জন্য কি পরিমাণ পানি সেচের প্রয়োজন সে সম্পর্কে সঠিক ধারণা না থাকায় অনেক সময় পানির অপচয় হচ্ছে। কিন্তু এর ফলে আমাদের ভূগর্ভস্থ পানির স্তর দিন দিন নিচে নেমে যাচ্ছে। পৃথিবীর ৩ ভাগ জল, ১ ভাগ স্থল হলেও আমরা এখনও দক্ষতার সাথে পানির ব্যবহার নিশ্চিত করতে পারিনি। তাই পানির কার্যকরী ও বিজ্ঞানভিত্তিক ব্যবহার এখন সময়ের দাবি।
বিডি প্রতিদিন/এএম