নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলা থেকে সংঘবদ্ধ মানব পাচারকারী চক্রের এক সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। একই সাথে মানব পাচারকারী চক্রের কবলে থাকা ৪ নারীকে উদ্ধার করা হয়েছে।
গ্রেফতারকৃত আবু বক্কর ছিদ্দিক ওরফে সোহেল (২৪) কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চরকাঁকড়া ইউনিয়নের ৯নম্বর ওয়ার্ডের মো. হারুনের ছেলে। আজ বৃহস্পতিবার সকালে কবিরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.রফিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এর আগে, বুধবার (১৬ নভেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার ধানশালিক ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে এনে ৪ নারীর এনআইডি কার্ড তৈরির চেষ্টাকালে মানব পাচারকারী চক্রের ওই সদস্যকে আটক করা হয়।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, সুনামগঞ্জ জেলার ওই ৪ নারী আর্থিকভাবে পরিবার পরিজন নিয়ে অভাব অনটনের মধ্যে দিনযাপন করছিলেন। এ সুযোগে মানব পাচারকারী চক্রের সদস্যরা তাদের পাচার করার জন্য বিভিন্নভাবে প্ররোচণা দিয়ে আসছে। এতে ৪ নারী প্ররোচিত হলে গত শনিবার বিদেশে নেওয়ার কথা বলে তাদের নিজ বাড়ি থেকে ঢাকায় নেওয়া হয়। সেখান থেকে বিদেশ নেওয়ার জন্য পাসপোর্ট তৈরি করতে এনআইডি কার্ড করার কথা বলে বুধবার নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে আনা হয়। এরপর পাচারকারী চক্রের হোতা সিদ্দিকের বাড়িতে রেখে এনআইডি কার্ড করার জন্য অনলাইনে ফরম পূরণ করা হয়। পরবর্তীতে ৪ নারীকে পার্শ্ববর্তী কবিরহাট উপজেলার ধানশালিক ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে ছবি উঠানোর জন্য নেওয়া হলে স্থানীয় লোকজন তাদের নাম ঠিকানা জিজ্ঞাসা করলে তারা তাদের স্থায়ী নাম ঠিকানা প্রকাশ করে। পরে স্থানীয় লোকজন তাদের পাচার করার কৌশল বুঝতে পেরে পুলিশে খবর দেয়।
ওসি) মো.রফিকুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় ভুক্তভোগী সুনামগঞ্জ জেলার দিরাই চন্ডিপুর এলাকার বাসিন্দা মোছাস্মৎ ছামিরা আক্তার (২৪) বাদী হয়ে ৩জনের নাম উল্লেখ করে ৫ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইনে মামলা দায়ের করেন। মামলার প্রধান আসামিকে স্থানীয় লোকজন আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। আজ বৃহস্পতিবার সকালে আটককৃত আসামিকে গ্রেফতার দেখিয়ে নোয়াখালী চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হয়।
বিডি-প্রতিদিন/আব্দুল্লাহ