শেরপুরের শ্রীবরদীতে বিএনপির তাঁতি দলের ১৫ নেতাকর্মীকে গ্রেফতারের খবর পাওয়া গেছে এবং পুলিশ বাদী হয়ে নিয়মিত মামলা করেছে।মামলায় আরও অন্তত ৩০/৪০ জনকে অজ্ঞাত হিসেবে দেখানো হয়েছে। গ্রেফতারকৃতরা সকলেই ইউনিয়ন পর্যায়ের বিএনপির বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মী।গত শুক্রবার (১৮ নভেম্বর) রাত সাড়ে ৮ টার দিকে পৌর শহরের সাতানী শ্রীবরদী এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
পুলিশের দাবি, অভিযুক্তরা ৩টি ককটেল বিস্ফোরণ করে,উগ্র ও রাষ্ট্রদ্রোহী বিভিন্ন স্লোগান দেয় এবং কর্তব্য পালনে পুলিশকে বাধা দেয়।এতে ৩ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে।বিএনপি বলছে, কোনো কারণ ছাড়া অযথাই পুলিশ গ্রেফতারের নাটক মঞ্চস্থ করলো।চলমান আন্দোলনে ভীত হয়ে সরকার পুলিশ ব্যবহার করে অতীতের মত গায়েবি মামলা দিয়ে দমন করতে চাচ্ছে।এ ধরনের অভিযোগকে সরকারের পুরানো ফাঁদ বলেছেন বিএনপি নেতারা।
পুলিশের দাবি, শুক্রবার বিকালে শ্রীবরদী পৌর তাঁতি দল আয়োজিত কর্মী সমাবেশে যাওয়ারে পথে এবং শেষ করে ফেরার পথে উগ্র ও রাষ্ট্রদ্রোহী বিভিন্ন স্লোগান দেয় ও উচ্ছৃঙ্খল আচরণ করে। নেতাকর্মীরা বাড়ি ফেরার পথে নেতাকর্মীদের থামানোর চেষ্টা করলে পুলিশের ওপর ইট-পাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে।পুলিশের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার একপর্যায়ে তিনটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়।এতে অন্তত তিনজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে।
শ্রীবরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিপ্লব কুমার বিশ্বাসের দাবি, এ ঘটনায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করে পরিস্থিত স্বাভাবিক করা হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে দু’টি অবিস্ফোরিত ককটেল উদ্ধার করা হয়েছে। অভিযানের মাধ্যমে ১৫ নেতাকর্মীকে আটক করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক আইনে ও পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে মামলা করা হয়েছে।প্রত্যেককে সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে বলে ওসি জানিয়েছেন।
শেরপুর জেলা বিএনপির সভাপতি ও ওই আসনের তিন বারের সাবেক সংসদ সদস্য মাহমুদুল হক রুবেলের দাবি পুলিশ অতি উৎসাহিত হয়ে একটি মিথ্যা ঘটনাকে পুঁজি করে সরকারের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছে।শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি শেষ করে বাড়ি ফেরার পথে অটোরিকশা থেকে নামিয়ে নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করা হলো। ককটেল, রাষ্ট্রবিরোধী কোনো স্লোগানের ঘটনা সেখানে ঘটেনি।
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা