রাজশাহীতে নিযুক্ত ভারতের সহকারী হাইকমিশনার মনোজ কুমার বলেছেন, সুচিত্রা সেন অনেক বড় মাপের অভিনেত্রী ছিলেন। ভারতে তিনি মহানায়িকার স্থান দখল করে রেখেছেন। অভিনয় দক্ষতা দিয়ে মানুষের মন জয় করে রেখেছেন। আজও সুচিত্রা সেনই সেরা।
মঙ্গলবার বিকেলে সস্ত্রীক পাবনায় সুচিত্রা সেন স্মৃতি সংগ্রহশালা ও মহানায়িকার পৈতৃক বাড়ি পরিদর্শন শেষে তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে তিনি শ্রী শ্রী ঠাকুর অনুকুল চন্দ্রর আশ্রম পরিদর্শন করেন।
ভারতের সহকারী হাইকমিশনার বলেন, সুচিত্রা সেন ভারতের নায়িকা হলেও বাংলাদেশে তার বাড়িটি সংরক্ষণ করায় আমি আনন্দিত। এখানে আসতে পেরে আমি আবেগাপ্লুত ও আনন্দিত। বাড়িটিতে আরও বড় আকারে কিছু করা গেলে ভালো হতো, এতে উপমহাদেশের অনেক লোকজন এখানে আসতো বলেও জানান তিনি। এক্ষেত্রে ভারতের কিছু করণীয় থাকলে সে বিষয়ে কথা বলা হবে।
বিকেল ৪টার দিকে সহকারী হাই কমিশনার মনোজ কুমার সস্ত্রীক সুচিত্রা সেনের পৈতৃক বাড়িতে এসে পৌঁছান। এ সময় সুচিত্রা সেন স্মৃতি সংরক্ষণ পরিষদের পক্ষ থেকে তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়। পরে তিনি স্ত্রীকে নিয়ে বাড়িটি ঘুরে দেখেন এবং ছবি তোলেন।
এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সুচিত্রা সেন স্মৃতি সংরক্ষণ পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি চিকিৎসক রাম দুলাল ভৌমিক, পাবনা প্রেসক্লাব সভাপতি এ বি এম ফজলুর রহমান, সহ-সভাপতি শহিদুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক সৈকত আফরোজ আসাদ, পাবনা ড্রামা সার্কেলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সরোয়ার উল্লাস, আবৃত্তি সংগঠন বাচন শৈলির সদস্য সাব্বির আহম্মেদ প্রমখু।
পাবনা শহরের গোপালপুর মহল্লার হেমসাগর লেনে সুচিত্রা সেনের পৈতৃক বাড়ি। এই বাড়িতে তিনি বাবা-মা ও ভাইবোনের সঙ্গে শৈশব ও কৈশোর কাটিয়েছেন। ১৯৪৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে বিয়ের পর তিনি স্বামীর সঙ্গে কলকাতায় চলে যান। ১৯৮৭ সাল থেকে ইজারার মাধ্যমে বাড়িটি দখলে নেয় কিছু লোক। ২০০৯ সাল থেকে পাবনাবাসী বাড়িটি দখলমুক্ত করে সেখানে সুচিত্রা সেন সংগ্রহশালা করার দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন। ২০১৪ সালে বাড়িটি দখলমুক্ত হয়। বর্তমানে বাড়িটিতে পাবনা জেলা প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণে সুচিত্রা সেন স্মৃতি সংগ্রহশালা করা হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/এমআই