প্রায় তিন বছর ধরে বন্ধ রয়েছে দিনাজপুরের বিরল-রাধিকাপুর ইমিগ্রেশন রুট। করোনাকালীন এই রুটে চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়। এতে এই ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট বন্ধ থাকায় দুই দেশের ভ্রমণপিপাসু ও ভারতে চিকিৎসা নিতে যাওয়া রোগীরা পড়েছেন বিপাকে। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পরও ইমিগ্রেশনটি চালু হয়নি। তবে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, শিগগিরই ইমিগ্রেশনটি চালু করা হবে। ২০২০ সালের ১৩ মার্চ করোনাকালীন এই ইমিগ্রেশন দিয়ে যাত্রী পারাপার বন্ধ করে দেওয়া হয়।
স্থানীয়রা জানায়, এই ইমিগ্রেশন পার হলেই ওপারে রাধিকাপুর রেলস্টেশন থেকে কলকাতাসহ ভারতের বিভিন্ন রুটে রয়েছে ট্রেনের ব্যবস্থা। বর্তমানে বাধ্য হয়ে এই অঞ্চলের মানুষকে দীর্ঘ পথ অতিক্রম করে ভারতে যেতে হচ্ছে। হিলি অথবা অন্যান্য ইমিগ্রেশন দিয়ে সময় ও খরচ দুটোই বেশি লাগছে আমাদের। এই পথ দিয়ে ভারতে গেলে ওপারেই রয়েছে রাধিকাপুর রেলস্টেশন। সেখান থেকে সহজে যাওয়া যায় কলকাতাসহ ভারতের বিভিন্ন রুটে। এই রুট বন্ধের ফলে পারাপারে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে পাসপোর্ট যাত্রীদের।
দিনাজপুরের মুকুল চট্টোপাধ্যায় ও তোফায়েল জুয়েলসহ কয়েকজন জানান, করোনার আগে নিয়মিত কলকাতায় ডাক্তার দেখাতে যেতাম। হিলি ইমিগ্রেশন পার হয়ে ডাক্তার দেখাতে যেতে হয়। বিরল-রাধিকাপুর ইমিগ্রেশন চালু থাকলে সময় ও খরচ দুটোই কম লাগে। এখন ঘুরে যাওয়ায় সবই বেশি লাগছে। আমরা চাই দ্রুত ইমিগ্রেশনটি চালু করা হোক।
বিরল ইমিগ্রেশনের উপ-পরিদর্শক জহুরুল ইসলাম জানান, বিরল-রাধিকাপুর ইমিগ্রেশনটি বহু পুরনো রুট। এই রুট দিয়ে প্রতিদিন প্রায় ১০০-১৫০ যাত্রী যাতায়াত করতেন। করোনাকালে বন্ধ হয়ে এখনো চালু হয়নি। তবে প্রতিদিন আশপাশের পাসপোর্টধারীরা খোঁজ-খবর নিচ্ছেন। এখানে আমরা সবসময় প্রস্তুত রয়েছি। সরকারি নির্দেশনা এলেই এ রুট দিয়ে ভারতে যাতায়াত করতে পারবেন পাসপোর্ট যাত্রীরা।
বিডি প্রতিদিন/এমআই